২৬ জুলাই ২০২৩ পশ্চিম আফ্রিকার স্থলবেষ্টিত দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় । প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার কার্যালয়ে আটক করে অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেন।
এরপর অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে তচিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা দেন। নির্বাচনের মাধ্যমে ২ এপ্রিল ২০২১ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ বাজুম। তার ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন আগেই একটি অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়।
সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত সেনারা নবগঠিত National Council for the Safeguard of the Homeland (CNSP)-এর অধীনে কাজ করছে ।
১৮ ডিসেম্বর ১৯৫৮ নাইজার ফ্রান্সের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ৩ আগস্ট ১৯৬০ দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৫ এপ্রিল ১৯৭৪ নাইজারের প্রথম প্রেসিডেন্ট হামানি দিওরি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।
অভ্যুত্থানের নেতা লে. সিনি কাউচি সংবিধান বাতিল করেন, সংসদ ভেঙে দেন এবং রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেন। পরে ১৯৯৩ সালে নাইজারে প্রথম অবাধ নির্বাচন হয় ।
কে এই জান্তা : জেনারেল তচিয়ানির জন্ম ১৯৬০ মতান্তরে ১৯৬১ সালে। তিনি নাইজারের পশ্চিমাঞ্চল টিলাবেরির বাসিন্দা। তিনি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মহামাদু ইসুফোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত। ২০১১ সাল থেকে ৩চিয়ানি প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের দায়িত্বে আছেন। তিনি ২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
ECOWAS’র পদক্ষেপ
অভ্যুত্থানের পর পশ্চিম আফ্রিকার ১৫টি দেশের বাণিজ্যিক সংগঠন Economic Community of West African States (ECOWAS ) নাইজারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেশটির যত সম্পদ রয়েছে তা জব্দ করা হয়।
১০ আগস্ট ২০২৩ ECOWAS নাইজারে সাংবিধানিক শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ‘স্ট্যান্ডবাই ফোর্স’ মোতায়েনের নির্দেশ দেয় । ১১ আগস্ট ২০২৩ ECOWAS কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসাহ জানান, ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১১টি দেশ সামরিক হস্তক্ষেপে সৈন্য পাঠাতে সম্মত হয়।
পশ্চিম আফ্রিকার ১৬টি রাষ্ট্র নিয়ে ১৯৭৫ সালে ECOWAS গঠিত হয়। ৩১ ডিসেম্বর ২০০০ মৌরিতানিয়া ECOWAS ত্যাগ করলে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫টি।