জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব রোধকল্পে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্বে ‘জলবায়ু কূটনীতি’ নামে নতুন এক প্রপঞ্চের (Phenomenon) আগমন ঘটে ।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল প্রক্রিয়ায় যেখানে প্রত্যেক রাষ্ট্রই স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট, সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো কীভাবে তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে, ধনী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলোচনার কৌশল কী হবে, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের ধরন, ব্যয়ের খাত কীভাবে নির্ধারিত হবে, সুশাসন, জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিষয়গুলোতে কী কৌশল নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কার্যকর অবস্থান এবং প্রতিনিধিত্বই হলো জলবায়ু কূটনীতি।
অন্যভাবে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মতৈক্যে পৌঁছানোর ধীরগতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ যে নীতি বা প্রক্রিয়া গ্রহণ করে তাকে বলা হয় জলবায়ু কূটনীতি ।
জলবায়ু কূটনীতির প্রকৃতি, কৌশল, উপাদানগুলো গতানুগতিক কূটনীতি থেকে ভিন্ন। বাংলাদেশ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী না হওয়া সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার।
এই বাস্তবতায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রমে জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয় বরং ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার লক্ষ্যে গঠিত ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোসিয়েশন টিম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, যা জলবায়ু কূটনীতির উদাহরণ ।