ডাঃ ফারিহা শহরের কর্মস্থলে অবস্থান করেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি কৃত্রিম পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ক. হ্যাকিং কী?
খ. “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”- ব্যাখ্যা কর।
গ. ডাঃ ফারিহা কীভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ডাঃ ফারিহার প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি প্রাত্যহিক জীবনে কী প্রভাব রাখছে? আলোচনা কর ।
ক. হ্যাকিং হচ্ছে অনলাইনে বিনা অনুমতিতে কারো সিস্টেমে প্রবেশ করে তার ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা বা কারো সিস্টেমের ক্ষতি সাধন করা।
খ. যন্ত্রকে নির্দেশ দেওয়া হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পালন করে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার অন্যতম যন্ত্র হচ্ছে রোবট। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা। যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা- স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব যা মানুষের মতো অনেক দুঃসাধ্য করতে পারে। মানুষ যেমন স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে ঠিক তদ্রুপ রোবট অনুরূপ কিছুটা আচরণ করতে পারে বলে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বলা যায়।
গ. উদ্দীপকে ডাঃ ফারিহা টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে শহরে না যেয়ে গ্রামে বসেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। কারণ তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারের নিকট হতে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে।
উদ্দীপকে ডাঃ ফারিহা টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন। এছাড়া শুধু মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে ।
আরো পড়ুন : রোবটিক্স কী? হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ডাঃ ফারিহার ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সেই প্রযুক্তি যা ত্রিমাত্রিক বিশ্ব সৃষ্টি করে এবং যার দৃশ্যমানতা বাহক জীবন্ত। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্যোগকারী যোগান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা বলে।
উদ্দীপকে ডাঃ ফারিহা কৃত্রিম পরিবেশে হাত, মাথা ও চোখে কিছু বিশেষ যন্ত্র পরে বাস্তবে নয় ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায় ডাক্তারির বিভিন্ন দৃশ্যাবলির মাধ্যমে অপারেশন প্রশিক্ষণের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছে। ফলে ডাঃ ফারিহা কোন প্রকার শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়ায় ডাক্তারির বিভিন্ন জটিল বিষয় সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন যা বাস্তবে অপারেশন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে যেকোনো দৃশ্য দেখা ও শোনা যায়। হাতের সাথে সংযুক্ত গ্লোবস দ্বারা প্রয়োজনীয় কোন কমান্ড বা নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং সঙ্গে প্রয়োজনীয় দৃশ্যের অবতারণা এবং কোন নির্দিষ্ট কাজের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে ব্যবহারকারীকে অনুভবের এক অন্য পৃথিবীতে নিয়ে যায়।
তাই প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর প্রভাব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । যেমন- ভার্চুয়াল রিয়েলটি গেমস তৈরি, কার চালনা প্রশিক্ষণ, বিমান চালনা প্রশিক্ষণ, ত্রি-মাত্রিক গ্রাফিক্স তৈরি, নগর পরিকল্পনা ইত্যাদি জটিল কাজে ব্যবহার শুরু হয়েছে ।