নাঈম একদিন তার গবেষক মামার অফিসে গিয়ে দেখতে পেল যে, অফিসের কর্মকর্তাগণ মূল দরজার নির্ধারিত জায়গায় বৃদ্ধাঙ্গুল রাখতেই দরজা খুলে যাচ্ছে। সে আরো দেখতে পেল যে তার মামা গবেষণা কক্ষের বিশেষ স্থানে কিছুক্ষণ থাকাতেই দরজা খুলে গেল। নাঈম তার মামার কাছ থেকে জানতে পারল যে, তিনি মিষ্টি টমেটো উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করছেন।
ক. ই-কমার্স কী?
খ. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
গ. মিষ্টি টমেটো উৎপাদনে নাঈমের মামার ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর ।
ঘ. উদ্দীপকে দরজা খোলার প্রযুক্তিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি বহুল ব্যবহৃত বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
ক. ইলেকট্রনিক কমার্সকে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা বিপনন, বিক্রয়, সরবরাহ ব্যবসা সংক্রান্ত লেনদেন কাজ করাই হচ্ছে ই-কমার্স ।
খ. তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ক্রায়োগান ব্যবহার করে নিম্নতাপমাত্রায় অসুস্থ টিস্যুর জীবাণু ধ্বংস করার চিকিৎসা পদ্ধতিকেই ক্রায়োসার্জারি বলা হয়। কেননা এই পদ্ধতিতেই – ৪১° তাপমাত্রায় ত্বকের অসুস্থ কোষকে ধ্বংস করে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। এক্ষেত্রে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আগর্ন ও ডাই মিথাইল ইথার প্রোপেন ব্যবহার করা হয়।
গ. মিষ্টি টমেটো উৎপাদনে নাঈমের মামার ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল ।
যে পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের প্রয়োজনে কোনো জীবের জিনোমের মধ্যে নতুন জিন যোগ করে বা কোনো জিন অপসারণ করে বা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে জিন বেশি ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
আরো পড়ুন : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
সেই পদ্ধতিকে জিন প্রকৌশল বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। সংক্ষেপে বলা যায়, কোনো জীব বা উন্নতমানের খাদ্য দ্রব্য (ধান, মটর, শিম, টমেটো) থেকে একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। জিন প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো বিশেষ জিনকে ক্রোমোজোমের DNA অনু থেকে পৃথক করে অন্য একটি নতুন জিনে স্থানান্তরিত করে কাজে লাগানো। তাই উদ্দীপকের নাঈমের মামা উন্নত জাতের মিষ্টি টমেটো উৎপাদন করার লক্ষ্যে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন।
ঘ. উদ্দীপকের গবেষক মামার অফিসে প্রবেশের প্রক্রিয়াদ্বয় হচ্ছে বায়োমেট্রিক্স ।
বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারিরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়।
উদ্দীপকের অফিসের কর্মকর্তাগণ মূল দরজার নির্ধারিত জায়গায় বৃদ্ধাঙ্গুল রাখতেই দরজা খুলে যায়। সুতরাং এটি ফিঙ্গার প্রিন্ট হিসাবে ডেটা ইনপুট গ্রহণ করে। ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার কম ব্যয়বহুল ও সহজে সিস্টেম বুঝতে পারে ।
অপরপক্ষে, নাঈমের মামা গবেষণা কক্ষের বিশেষ স্থানে কিছুক্ষণ থাকাতেই দরজা খুলে গেল। অর্থাৎ এটি চোখের আইরিশ বা রেটিনা স্কানার হিসেবে ডেটা ইনপুট গ্রহণ করে অ্যাকসেস কন্ট্রোল কাজ করে । আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান অনেক সময় সিস্টেম সহজে বুঝতে পারে না। তাছাড়া উক্ত ডিভাইসটির দাম বেশি। সুতরাং উদ্দীপকের দরজা খোলার প্রযুক্তিদ্বয়ের মধ্যে আঙ্গুলের ছাপ প্রক্রিয়াটি সিস্টেমে সহজে বুঝতে পারে এবং কম ব্যয়বহুল হওয়ায় বহুল ব্যবহৃত হয় ।