প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন কৃষি পণ্য উৎপাদন পদ্ধতি, শস্য ক্ষেতের পরিচর্যা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে গ্রামের কৃষকদের সরবরাহ করে এবং গ্রামের মানুষের জন্য মাসে একবার ঢাকার অভিজ্ঞ ডাক্তারদের সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেয়। তা ছাড়াও গ্রামের বেকার যুবকেরা উক্ত কেন্দ্র হতে কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
ক. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
খ. ই-কমার্স একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ এর গ্রহীত প্রযুক্তির কার্যক্রম ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে গ্রামের বেকার যুবকেরা কীভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে বিশ্লেষণ করো।
ক. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বংশগতির প্রযুক্তিবিদ্যা। যে পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো জীবের জিনোমের মধ্যে নতুন জিন যোগ করা বা কোনো জিন অপসারণ করা বা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়, সে পদ্ধতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।
খ. ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার পদ্ধতিকে ই-কমার্স বলা হয়। ই-কমার্সের কারণে বর্তমানে ঘরে বসেই পণ্য ক্রয় ও বিক্রয় করা যায়। ই-কমার্স সাইটগুলোতে পণ্যের বিবরণ ও মূল্য দেয়া থাকে। যে কেউ ঘরে বসেই পণ্য অর্ডার করতে পারে এবং ক্রেডিট কার্ড অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারি (COD) পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয় করতে পারে।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ পদ্ধতি টেলিমেডিসিন নামে পরিচিত। ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তির সাহায্যে বহু দূরবর্তী স্থান থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ, রোগীর সাথে মতবিনিময় ইত্যাদি কার্যক্রম বর্তমানে বিশ্বগ্রামের কারণে শুরু হয়েছে। এ চিকিৎসা পদ্ধতিকেই টেলিমেডিসিন বলা হয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে এক দেশে অবস্থান করে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা যায়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট থেকে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। সরকারের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট জটিলতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
সেক্ষেত্রে অনলাইনে বা মোবাইল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দূরবর্তী স্থানে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়া যায়। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে সকল সুযোগ সুবিধা যেমন- প্রযুক্তিগত সুবিধা, দক্ষতা নাও থাকতে পারে কিন্তু বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সব প্রযুক্তির অধিক্য থাকায় সহজেই জটিল রোগের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
আরো পড়ুন :
- হ্যাকিং কী? “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”- ব্যাখ্যা কর।
- রোবটিক্স কী? হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে? “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা বুঝিয়ে লিখ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োমেট্রিক্স কী? “ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব”— বুঝিয়ে লেখ।
- ই-কমার্স কী? নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
- প্লেজারিজম কী? “ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়”- ব্যাখ্যা করো।
- ই-মেইল কী? “বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ডই কানেক্টিভিটি”- বিশ্লেষণ করো।
- রোবটিক্স কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োইনফরম্যাটিক্স কী? বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
- ভিডিও কনফারেন্সিং কী? “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”- বুঝিয়ে লিখ।
- ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানো টেকনোলজি কী? নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? “তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”– বুঝিয়ে লেখ ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দিপকে উল্লেখিত গ্রামের বেকার যুবকেরা ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। কম্পিউটারে প্রশিক্ষিত হওয়ার কারণে গ্রামের যুবকেরা আজ স্বাবলম্বী। উল্লেখিত অর্থ উপার্জন পদ্ধতিকে আউটসোর্সিং বলা হয় । কোনো নির্দিষ্ট কাজ নিজেরা না করে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় এসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার মাধ্যমে সুমির মতো দেশের লাখ লাখ শিক্ষিত ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন বেকার যুবক-যুবতি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছে। নিজের বাড়িতে বসে বা ঘরে বসে নারী-পুরুষ সকলেই এমনকি অভিজ্ঞ গৃহিনীরাও নিজের পছন্দমতো কাজ করতে পারছে। এদের মাধ্যমে দেশে আসছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা যা দেশের অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করছে। বিশ্বগ্রামের অনেক অবদানের মধ্যে কর্মসংস্থান অন্যতম।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কল্যাণে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মক্ষেত্রের খবরা-খবর এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রামের যুবসমাজ জানতে পারে। বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থার কারণে তথ্যের অবাধে আদান-প্রদান হয়, এতে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। এভাবে উদ্দীপকে বিশ্বগ্রামের কর্মসংস্থান অবদানটি সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।