কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ? ১২০ এমপিবিএস বলতে কী বোঝায়?

Preparation BD
By -
0

দৃশ্যকল্প-১: জাহিন তার মামার বিয়ের ছবি ও ভিডিও ফাইলগুলো ই-মেইল প্রক্রিয়ায় তার প্রবাসী বাবার নিকট পাঠালো। দৃশ্যকল্প-২: তাকিয়া ঢাকাতে গিয়ে তার মামার সাথে নভোথিয়েটারে গিয়ে মহাকাশ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলো।

ক. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ?
খ. ১২০ এমপিবিএস বলতে কী বোঝায়?
গ. জাহিনের ব্যবহৃত পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তাকিয়া জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়াটি তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত— বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।

ক. মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ( Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ।

খ. একক সময়ে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। 120mbps বলতে বোঝায় প্রতি সেকেন্ডে 120 মেগাবিট ডেটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরিত হয় ।

গ. জাহিনের ব্যবহৃত পদ্ধতিটি হলো ই-মেইল। ই-মেইল শব্দের অর্থ হলো ইলেকট্রনিক মেইল বা ডিজিটাল বার্তা যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে। ১৯৭১ সালে আরপানেটে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পত্রালাপের সূচনা করেন আমেরিকার প্রোগ্রামার রেমন্ড স্যামুয়েল টসলিনসন ( Ramond samuel Tomlinson)। তিনিই প্রথম (ই-মেইল) সিস্টেম চালু করেন।

তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবিত নতুন ডাক ব্যবস্থা যা হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের সমন্বয়ে তৈরি। খুব দ্রুত ও অল্প সময়ে চিঠিপত্র, অন্যান্য ডকুমেন্ট নির্ভুলভাবে গন্তব্য স্থানে পৌঁছানো যায়। বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ব্যবসা বানিজ্য, লাইব্রেরি, ইতিহাস ঐতিহ্য ব্যবহারের জন্য অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট এমনকি চ্যাটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।

একজনের কাছ থেকে একাধিক জনকে E-mail করা যায়। ই-মেইলের জন্য যে জিনিসগুলো প্রয়োজন তা হলো— কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন, মডেম, ইন্টারনেট সংযোগ এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস। যে ই-মেইল প্রেরণ করবে এবং যার কাছে প্রেরণ করবে উভয়েরই ই-মেইল অ্যাড্রেস থাকতে হবে।

আরো পড়ুন :

ঘ. তাকিয়া ঢাকাতে গিয়ে তার মামার সাথে নভোথিয়েটারে গিয়ে মহাকাশ সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করলো তা প্রদর্শন করা হয়েছিল মূলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রি-মাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বাস্তব দৃষ্টিগ্রাহ্য জগৎ তৈরি করা হয় যা উচ্চমাত্রায় তথ্য বিনিময় মাধ্যমের কাজ করে ।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে যে সব যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়েছে তা সবই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত। শুধু তাই নয় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সুতরাং তাকিয়া জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়াটি তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !