রহিম তার থিসিস পেপার প্রস্তুত করার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরি ও ওয়েবসাইট হতে লেখা উদ্বৃত্তি ও ছবি ডাউনলোড করে। এ সকল উপাদান কোনরূপ পরিবর্তন না করে তার অ্যাসাইনমেন্টে সংযোজন করে। কিন্তু তার অ্যাসাইনমেন্টটি শিক্ষক কর্তৃক গৃহীত হলো না ।
ক. বায়োইনফরম্যাটিক্স কী?
খ. হ্যাকিং এর সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
গ. রহিমের থিসিসের কাজটি কেন শিক্ষক কর্তৃক গৃহীত হলো না- বুঝিয়ে লেখ ৷
ঘ. রহিমের পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে বলে তুমি মনে কর উত্তরের সপক্ষে বিশ্লেষণ কর।
ক. বায়োইনফরম্যাটিক্স এমন একটি প্রযুক্তি বা ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করলে জীববিজ্ঞানের সমাধান করা যায়।
খ. হ্যাকিং এর সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক নিচে ব্যাখ্যা করা হলো- ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যের কম্পিউটার সিস্টেমে বা ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে প্রবেশ করে পুরো নিয়ন্ত্রণে নেয়াকে হ্যাকিং বলে। নৈতিক মূল্যবোধ হলো সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা। যা মানুষ নিজের ভিতর ধারণ করে এবং এগুলো সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়। হ্যাকিং প্রতিরোধে ১৯৯২ সালে কম্পিউটার এথিকস ইনস্টিটিউট কম্পিউটার এথিকস এর বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা তৈরি করে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
১. অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা।
২. অন্যের কম্পিউটার এর ডেটার উপর নজরদারি না করা।
৩. অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা ।
৪. অন্যের বুদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি না করা।
গ. রহিমের থিসিসের কাজটি কেন শিক্ষক কর্তৃক গৃহীত হলো না তা নিচে আলোচনা করা হলো-
নৈতিক মূল্যবোধ হলো সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা, যা মানুষ নিজের ভিতর ধারণ করে এবং এগুলো কারো সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়। রহিম তার থিসিস পেপার প্রস্তুত করার জন্য ইন্টারনেট থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরি থেকে ও ওয়েবসাইট হতে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে তা কোনরূপ পরিবর্তন না করে তার অ্যাসাইনমেন্টে সংযোজন করে। রহিম অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। যা প্লেজারিজম নামে পরিচিতি। এটি একটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচার এ রহিমের আচরণ সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিরোধী। তাই তার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের নিকট গৃহীত হলো না।
আরো পড়ুন :
- হ্যাকিং কী? “যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”- ব্যাখ্যা কর।
- রোবটিক্স কী? হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কাকে বলে? “টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা বুঝিয়ে লিখ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? “স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের মাধ্যম”-ব্যাখ্যা কর ।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োমেট্রিক্স কী? “ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব”— বুঝিয়ে লেখ।
- ই-কমার্স কী? নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
- প্লেজারিজম কী? “ঝুঁকিপূর্ণ কাজে রোবট ব্যবহৃত হয়”- ব্যাখ্যা করো।
- ই-মেইল কী? “বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ডই কানেক্টিভিটি”- বিশ্লেষণ করো।
- রোবটিক্স কী? ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
- বায়োইনফরম্যাটিক্স কী? বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
- ভিডিও কনফারেন্সিং কী? “বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”- বুঝিয়ে লিখ।
- ই-কমার্স কী? ‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব’- ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানো টেকনোলজি কী? নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
- ন্যানোটেকনোলজি কী? “তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”– বুঝিয়ে লেখ ।
- ক্রায়োসার্জারি কী? আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচার এ রহিমের আচরণ সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিরোধী। তাই তার অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের নিকট গৃহীত হয়নি। ফলে রহিমের পরবর্তী করণীয় কী তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
ক. তার থিসিস পেপার এ অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা ।
খ. অন্যের বুদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি না করা।
গ. ইন্টারনেট থেকে কোন তথ্য হুবহু থিসিস পেপারে অন্তর্ভুক্ত না করা
ঘ. ইন্টারনেট থেকে কপিকৃত তথ্য কিছুটা পরিবর্তন করে থিসিস পেপারে অন্তর্ভুক্ত করা
ঙ. ইন্টারনেট থেকে কপিকৃত তথ্যগুলোর উৎস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া
চ. থিসিস পেপারে অন্তর্ভুক্ত অন্যের তথ্য নিজের বলে দাবি না করা।
এই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রহিম সাহেবের থিসিস পেপার তার শিক্ষকের নিকট গৃহীত হবে বলে আমি মনে করি ।