E-learning এর সংজ্ঞা লিখো। ‘আণবিক পর্যায়ে গবেষণা' প্রযুক্তিটির ধারণা দাও।

Preparation BD
By -
0

বর্তমানে বাংলাদেশের বড় বড় অফিসগুলোতে যন্ত্রের সাহায্যে ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। আবার এমন একটি প্রোগ্রামেবল যন্ত্রও থাকে যা মানুষের ন্যায় আচরণ করতে পারে এবং মানুষের পরিশ্রমকে কমিয়ে দিতে পারে।

ক. E- learning এর সংজ্ঞা লিখো।
খ. ‘আণবিক পর্যায়ে গবেষণা’ প্রযুক্তিটির ধারণা দাও।
গ. উদ্দীপকের ২য় যন্ত্রটি মানুষের বিকল্প হতে পারে’ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ব্যক্তি শনাক্তকরণে ১ম যন্ত্রটির ক্রিয়া কৌশল বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও ।

ক. ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা বা ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করাকে ই-লার্নিং বলে।

খ. আনবিক পর্যায়ের গবেষণাটি হলো ন্যানোটেকনোলজি। ন্যানোপ্রযুক্তি (ন্যানোটেকনোলজি বা সংক্ষেপে ন্যানোটেক) পদার্থকে আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা। সুতরাং ন্যানোটেকনোলজি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে ন্যানোমিটার স্কেলে একটি বস্তুকে নিপুণভাবে ব্যবহার করা যায় অর্থাৎ এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ধ্বংস বা সৃষ্টি করা যায়।

গ. উদ্দীপকের ২য় যন্ত্রটি হলো রোবট। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা | ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা- স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্র মানব। রোবটে একবার কোনো প্রোগ্রাম করা হলে ঠিক সেই প্রোগ্রাম অনুসারে কাজ করে। এক্ষেত্রে তার কাজটির জন্য মানুষকে আর কোনো কিছু করতে হয় না।

শিল্প করখানায় এ ধরণের কিছু রোবট ব্যবহৃত হয়। দূর থেকে লেজার রশ্মি বা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই রোবটগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। রোবট মানুষের অনেক দুঃসাধ্য ও কঠিন কাজ করতে পারে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় যেসব জিনিসপত্র মানুষের পক্ষে ওঠানামা ও স্থাপনের জন্য কঠিন সেসব ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হিসেবে রোবট ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে যানবাহন বা গাড়ির কারখানায় রোবট ব্যবহৃত হয়।

কারখানার জিনিসপত্র সংযোজন, প্যাকিং এবং জিনিসপত্র পরিবহনের জন্য রোবট ব্যবহার ফলপ্রসূ। যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধযানে ড্রাইভারের বিকল্প হিসেবে রোবটকে ব্যবহার করা যায়। এই সমস্ত রোবট দূর নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। যেসব ক্ষেত্রে অতি সূক্ষ্ম কাজ করা দরকার হয় যেমন ইলেকট্রনিক্স-এর আইসিগুলো (IC) বানানোর জন্য এবং PCB (Printed Circuit Board) বানানোর জন্য রোবট ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে সার্জারির কাজে রোবট সফলভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। তাই উদ্দীপকের ২য় যন্ত্রটি মানুষের বিকল্প হতে পারে ।

আরো পড়ুন :

ঘ. উদ্দীপকের ব্যক্তি শনাক্তকরণে ১ম যন্ত্রটি হলো বায়োমেটিক্স অন্তর্গত। বায়োমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচার-আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি দ্বারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়। বায়োমেট্রিক্স এর মূল কাজই হচ্ছে প্রতিটি মানুষের যে অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে তাকে খুঁজে বের করা এবং প্রতিটি মানুষকে সেই বৈশিষ্ট্যের আলোকে পৃথক পৃথকভাবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করা।

কম্পিউটার পদ্ধতিতে নিখুঁত নিরাপত্তার জন্য বায়োমেটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার হয়। একটি বায়োমেট্রিক্স ডিভাইসে সাধারণত নিম্নোক্ত অংশসমূহ থাকে।

  • একটি রিডার অথবা স্ক্যানিং ডিভাইস,
  • একটি কনভার্টার সফটওয়্যার যা স্ক্যানকৃত তথ্য ডিজিটালে রূপান্তর করে যা ম্যাচিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়,
  • একটি ডেটাবেজ যেখানে তুলনার জন্য বায়োমেট্রিক্স ডেটা সংরক্ষিত থাকে।

বায়োমেট্রিক্স সিস্টেমটি দুটি পর্যায়ে কাজ করে—

প্রথমত: কোনো নির্দিষ্ট আইডেন্টিটি (ব্যক্তি পরিচয়) বা কোনো ব্যক্তির বায়োলজিক্যল ডেটা (ডিএনএ, আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা ও আইরিস, ভয়েস নিদর্শন, মুখের নিদর্শন) বায়োলজিক্যাল ডিভাইস দ্বারা স্ক্যান করে ভেরিফিকেশনের জন্য ডেটাবেজে রেখে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয়ত: ভেরিফিকেশনের সময় উক্ত ব্যক্তির স্ক্যানকৃত বায়োলজিক্যাল ডেটা ডেটাবেজে রক্ষিত ডেটার সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। যদি নতুন স্ক্যানকৃত ডেটা, ডেটাবেজে রক্ষিত ডেটার সাথে পুরোপুরি মিলে যায় তাহলে সিস্টেমটি উক্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারে আর না মিললে উত্ত ব্যক্তিকে চিনতে পারে না । এই পুরো সিস্টেমের জন্যই আগে থেকে একটি সফটওয়্যার তৈরি করে নিতে হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !