১৫ অক্টোবর ২০২৩ জরায়ুমুখ ক্যানসারে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ২ অক্টোবর ২০২৩ ‘এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ু ক্যানসার রুখে দিন, এ প্রতিপাদ্য নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় ‘এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৩’।
বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় UNICEF, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (GAVI)-এর সহযোগিতায় এ ভ্যাকসিন কার্যক্রম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হয় ।
প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্কুলে টিকা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আগস্টে দেশের বাকি পাঁচ বিভাগে দেওয়া হবে এই টিকা।
HPV কী?
HPV’র পূর্ণরূপ Human papillomavirus। HPV একটি ভাইরাস, যা সার্ভিকাল ক্যানসার (গর্ভাশয়ের বা জরায়ুর নিচের অংশের একটি টিউমার) এবং যৌনাঙ্গের আঁচিল হতে পারে। এটি যোনির ক্যানসারও হতে পারে । WHO’র সুপারিশ অনুযায়ী, নিয়মিত পরীক্ষা এবং HPV টিকা দানের মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব।
টিকা গ্রহণের সুবিধা
- এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে
- ৫ম-৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০-১৪ বছর বয়সি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এ টিকা অধিকতর কার্যকর
- এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
টিকা গ্রহণের স্থান
- ছাত্রী অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সি কিশোরী-ইপিআই টিকাদান কেন্দ্ৰে ।
গ্রহণকারী
- ৫ম-৯ম শ্রেণি অথবা সমমানে অধ্যয়নরত ছাত্রী
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সি কিশোরী।