জেলা পরিচিতি : সাগরকন্যা পটুয়াখালী

জেলা পরিচিতি : সাগরকন্যা পটুয়াখালী

পটুয়াখালীকে বলা হয় ‘সাগরকন্যা’। দেশের সর্বদক্ষিণে ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত’ এই জেলার ঐতিহ্য। এই সৈকতের অনন্যতা হলো এখানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।

নামকরণ

‘বরিশালের ইতিহাস’ গ্রন্থের লেখক সিরাজ উদ্দিন আহমেদের মতে, সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্তুগিজ জলদস্যুরা ভাড়ানি খাল দিয়ে এ অঞ্চলে ধ্বংসলীলা চালাত। ফলে খালটি স্থানীয়দের কাছে ‘পতুয়ার খাল’ নামে পরিচিতি পায়। অধিকাংশের মতে, দেবেন্দ্র নাথ দত্তের পুরনো কবিতার সূত্র ধরে এই ‘পতুয়ার খাল’ থেকে পটুয়াখালী নামের উৎপত্তি।

জেলা গঠন

প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কচুয়া একসময় ছিল রাজ্যের রাজধানী। পরবর্তীতে সেলিমাবাদ, বাজুগ উমেদপুর এবং উরানপুরের ৩টি পরগনাসহ পটুয়াখালীকে গঠন করা হয়। ১৮১২ সালে পটুয়াখালী অঞ্চল নিয়ে বরিশাল জেলায় গঠন করা হয় মির্জাগঞ্জ থানা। ১৮৭১ সালে অঞ্চলটি মহকুমা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পাকিস্তানি শাসনামলে ১৯৬৯ সালে জন্ম হয় পটুয়াখালী জেলার।

ঐতিহ্য ও স্থাপনা

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত : এই সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে এর অবস্থান ৷

পায়রা সমুদ্রবন্দর : বন্দরটি কলাপাড়ার রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীপাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় অবস্থিত। এটি দেশের তৃতীয় ও গভীরতম সমুদ্রবন্দর। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট শুরু হয় বন্দরের কার্যক্রম। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখানে নিয়মিত কয়লাবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয় ৷

রাবনাবাদ চ্যানেল : কলাপাড়ার এই চ্যানেল পায়রা সমুদ্রবন্দরের পাশ দিয়ে বহমান। এটি ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। চ্যানেলটি দেশের গভীরতম (১০.৫ মিটার)।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: কেন্দ্রটি কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন আল্ট্রা-সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তি এবং কয়লাভিত্তিক এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে।

একনজরে

আয়তন৩২২১.৩১ বর্গ কিমি ৷
জনসংখ্যা১,৭২৭,২৫৪ জন (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২)।
উপজেলা৮টি (সদর, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকী, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙাবালী)।
সংসদীয় আসন৪টি।
বিশ্ববিদ্যালয়পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
জেলা ব্র্যান্ডিং“কুয়াকাটা অনন্যা পটুয়াখালী সাগরকন্যা”।

পানি জাদুঘর : কলাপাড়ার পাখিমারা নামক স্থানে অবস্থিত। এই জাদুঘরের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর। এখানে ৯০টির বেশি নদীর পানির নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে।

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর : কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এগুলোর উদ্বোধন হয় ২০২১ সালে।

ক্র্যাব আইল্যান্ড : এর অবস্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বদিকে গঙ্গা- মতির জঙ্গল থেকে একটু দূরে।

জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত : রাঙাবালী উপজেলার বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নে রয়েছে এই সৈকত।

ফাতরার বন : এর অবস্থান কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর মোহনার পশ্চিমে এটি সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। ‘টেংরাগিরি বনাঞ্চল’ নামেও এটি পরিচিত।

শুঁটকি পল্লি : কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে এই পল্লির অবস্থান ৷

বাউফলের মৃৎশিল্প : বাউফল উপজেলার মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিলাস সামগ্রী বিশ্ববাজারে সমাদৃত। এগুলো বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয় ৷

দশমিনা বীজ উৎপাদন খামার : দশমিনা উপজেলায় ২০১৩ সালে এই খামারের উদ্বোধন করা হয়। এটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

চর বিজয় : কুয়াকাটায় গভীর সাগরে জেগে ওঠা মনোমুগ্ধকর এক দ্বীপ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চরটির নামকরণ করা হয় ‘চর বিজয়’। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘হাইরের চর’ নামে পরিচিত। খেপুপাড়া ডপলার রাডার স্টেশন: কলাপাড়ায় ১৯৬৯ সালে এই স্টেশন স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে এখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়।

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন: কুয়াকাটায় ২০১৩ সালে স্টেশনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালে এটি সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হয়।

শেখ হাসিনা সেনানিবাস: ২০১৮ সালে লেবুখালীতে নির্মিত সেনানিবাসটি দেশের ৩১তম সেনানিবাস হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

আরও যা রয়েছে : মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, কেরানীপাড়া রাখাইন পল্লি, গঙ্গা- মতির জঙ্গল, নারিকেল কুঞ্জ, লেম্বুর চর, শেরে বাংলার পৈত্রিক নিবাস কাজী বাড়ি, ঘসেটি বেগমের কুঠিবাড়ি, পায়রা সেতু, সিজি বেইস ‘অগ্রযাত্রা’।

নদ-নদী : লাউকাঠি, লোহালিয়া, আন্ধারমানিক, পায়রাগঞ্জ, তেতুলিয়া, পাঙ্গাশিয়া, আগুনমুখা।

নৃগোষ্ঠী : মগ, চাকমা, রাখাইন।

আরো পড়ুন :

অনুচ্ছেদ রচনা

বিস্তারিত

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

বিস্তারিত

ইংরেজি ভাষা  সাহিত্য

বিস্তারিত

ইসলাম ধর্ম

বিস্তারিত

ইসলামের ইতিহাস  সংস্কৃতি

বিস্তারিত

এইচএসসি

বিস্তারিত

এসএসসি

বিস্তারিত

ওয়েব ডিজাইন

বিস্তারিত

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি

বিস্তারিত

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

বিস্তারিত

গ্রন্থ-সমালোচনা

বিস্তারিত

চাকরি-বাকরি

বিস্তারিত

জীবনযাপন

বিস্তারিত

জীববিজ্ঞান

বিস্তারিত

জেলা পরিচিতি

বিস্তারিত

টিপস

বিস্তারিত

দেশ পরিচিতি

বিস্তারিত

তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি

বিস্তারিত

নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন

বিস্তারিত

পদার্থ বিজ্ঞান

বিস্তারিত

পিডিএফ ডাউনলোড

বিস্তারিত

পৌরনীতি ও নাগরিকতা

বিস্তারিত

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

বিস্তারিত

প্রবন্ধ আলোচনা

বিস্তারিত

প্রশ্ন সমাধান

বিস্তারিত

ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং

বিস্তারিত

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

বিস্তারিত

বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি

বিস্তারিত

বাংলা রচনা সম্ভার

বিস্তারিত

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়

বিস্তারিত

বাংলাদেশ বিষয়াবলী

বিস্তারিত

বিসিএস প্রস্তুতি

বিস্তারিত

ভাইভা প্রস্তুতি

বিস্তারিত

ভাবসম্প্রসারণ

বিস্তারিত

ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

বিস্তারিত

লেখক পরিচিতি

বিস্তারিত

সাধারণ জ্ঞান

বিস্তারিত

সাধারন বিজ্ঞান

বিস্তারিত

সামাজিক বিজ্ঞান

বিস্তারিত

স্বাস্থ্য টিপস

বিস্তারিত

Leave a Reply