বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক জাতিগােষ্ঠী থেকে।
বাংলার আদি অধিবাসীগণের ভাষাও ছিল— অস্ট্রিক।
আর্যরা এদেশে এসেছে— ইরান থেকে, তাদের আদি বাসস্থান- ইউরাল পর্বতের দক্ষিণ তৃণভূমি অঞ্চল, ধর্ম- সনাতন, ধর্মগ্রন্থ বেদ, ভারতে প্রথম বসতি স্থাপন করে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল ও পাঞ্জাব।
নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্ভুক্ত– আদি অস্ট্রেলীয় নরগােষ্ঠী, বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি- দ্রাবিড়, বর্তমানে বাঙালি জাতির পরিচয় সংকর জাতি হিসেবে।
বাংলার আদি উপজাতি- কোল, ভেল, সাঁওতাল, মুন্ডা প্রভৃতি।
নিষাদ জাতি বলা হয় অস্ট্রিক গােষ্ঠী থেকে উদ্ভূত বাঙালি জাতিকে।
সিন্ধু সভ্যতা প্রথম আবিষ্কার করেন— রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সিন্ধু সভ্যতায় পাওয়া যায়তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস
- বাংলাদেশের চলচ্চিত্র
- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
- বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি
- ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংস্কার
- গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়দের তালিকা
- বাংলায় ইউরােপীয়দের আগমন ও শাসন
- মুঘল শাসনামলে বাংলা
- বাংলায় মুসলমান ও স্বাধীন সুলতানি শাসনামল
- বাংলার প্রাচীন জনপদ ও শাসনামল
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ— পুণ্ডু, পুরে রাজধানী ছিল— পুণ্ড্রনগর, পুণ্ড্র জনপদের বিস্তৃতি বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলা জুড়ে। মহাস্থানগড় ও পুণ্ডু নগরী যে একই তা সনাক্ত করেন— কানিংহাম।
প্রাচীনকালে এদেশের নাম ছিল বঙ্গ, বঙ্গ নামের উল্লেখ প্রথম পাওয়া যার ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে, সর্বপ্রথম দেশবাচক শব্দ বাংলা ব্যবহৃত হয়- আবুল ফজলের ‘আইন-ইআকবরী গ্রন্থে।
বর্তমান বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল বঙ্গ জনপদের; বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর জেলাও প্রাচীনকালে অন্তর্ভুক্ত ছিল বঙ্গের।