অন্যান্য

শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে করণীয়

বাসা বাড়িতে বিভিন্ন কারনে আগুন দিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সাধারনত গরম পানি, গরম জিনিস-পত্র (পাতিল, খুন্তি, কড়াই ইত্যাদি), রাসায়নিক পদার্থ (এসিড) বা কারেন্টের তার জ্বলে যাওয়া জায়গায় হাত লেগে ইত্যাদি কারনেই সাধারণত হাত-পা পুড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে যা করতে হবেপ্রথমে জেনে নেই পােড়া কতচপ্রকারের ।

  • বার্ন : যদি গরম বস্তুর স্পর্শে বা আগুনে পুড়ে যায়।।
  • স্কাল্ড : যদি গরম তরলে লেগে পুড়ে যায় (যেমন, গরম তেল, গরম পানি, গরম চা বা কফি)।

গভীরতা অনুযায়ী পােড়াকে আবার

  • সুপারফিসিয়াল : শুধুমাত্র চামড়ার উপরের এপিডার্মিস এবং/বা ডার্মিসের কিছু অংশ সহ পুড়ে গেলে।
  • ডীপ : এপিডার্মিস এবং ডার্মিস পুরােটাই পুড়ে গেলে। পােড়া যদি সামান্য হয় তবে সেটার চিকিৎসা আপনি নিজেই করতে পারেন।

যা করণীয় : পােড়া অংশ ঠান্ডা পানিতে কিছু সময় ডুবিয়ে রাখুন। যদি ডােবানাে অসুবিধাজনক হয় তবে ঠান্ডা পানি ঢালুন। পােড়া যায়গায় যদি ফোস্কা পড়ে তবে ফোস্কা গালাবেন না। এরপর দুভাবে পােড়ার চিকিৎসা করা যায়।

স্বাস্থ্য টিপস থেকে আরো পড়ুন

১। উন্মুক্ত পদ্ধতিঃ যদি পােড়া সুপারফিসিয়াল হয় এবং ইনফেকশন হয় নি এমন হয়। এক্ষেত্রে ড্রেসিং লাগেনা। শুধু সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রীম ১% [ওষুধের দোকানে সিলক্রীম নামে এবং আরাে কিছু নামেও পাওয়া যায়] ১২ ঘন্টা পর পর লাগাবেন। ২/৩ সপ্তাহ লাগতে পারে সম্পূর্ণ ভাল হতে। সাধারণত মুখ, মাথা ও ঘাড়ের পােড়ায়ও ড্রেসিং করা হয় না। শুধু উপরের নিয়মে সিলক্রীম লাগাবেন।

২। বদ্ধ পদ্ধতিঃ যদি পােড়া সুপারফিসিয়াল কিন্ত ইনফেকশন হয়ে গেছে এমন হয় বা ডীপ পােড়া হয়। এক্ষেত্রে ড্রেসিং করতে হয়। তিন লেয়ারে ড্রেসিং করতে হয়। প্রথম লেয়ারে সিলক্রীম দেয়া হয়। দ্বিতীয় লেয়ারে স্টেরাইল গজ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় এবং তৃতীয় লেয়ারে তুলা দেয়া হয়। এবার এই তিনটি লেয়ারকে রােল ব্যান্ডেজ দিয়ে হালকা ভাবে বেঁধে দেওয়া হয়। ড্রেসিং প্রতিদিন একবার বদলে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রেও ২/৩ সপ্তাহ লাগতে পারে পুরােপুরি ভাল হতে। অতি সংক্ষেপে এটাই সাধারণ পােড়ার চিকিৎসা।

পােড়া যদি অনেক যায়গা জুড়ে হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button