বাংলাদেশে ভ্যাট (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) প্রথম চালু হয় ১৯৯১ সালে। এটি একটি প্রকারের পরোক্ষ কর, যা পণ্য বা সেবার ওপর নির্ধারিত মূল্য সংযোজনের ভিত্তিতে প্রযোজ্য হয়। ভ্যাটের উদ্দেশ্য ছিল সরকারের রাজস্ব বাড়ানো এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই করের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
১৯৯১ সালে ভ্যাট চালু করার আগে, বাংলাদেশের ট্যাক্স ব্যবস্থায় মূলত অন্যান্য ধরণের পরোক্ষ কর যেমন সেলস ট্যাক্স ছিল, যা পণ্যের উপর নির্দিষ্ট হারে আরোপিত হত। তবে, সেলস ট্যাক্সের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, বিশেষ করে বিভিন্ন স্তরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং করের আদায়ে দুর্নীতি। এর ফলে সরকার নতুনভাবে ভ্যাট চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভ্যাটের মাধ্যমে সরকার সাধারণত ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে কর আদায় করে থাকে, যার ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পায় এবং একটি বৈষম্যমুক্ত কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ভ্যাট চালুর পর বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশে স্বচ্ছতা ও উন্নতি ঘটে, এবং এটি বিশ্বব্যাপী একটিভ অর্থনীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি দেয়।
ভ্যাট চালুর পর বাংলাদেশে ব্যবসায়ী এবং জনগণের মাঝে ভ্যাটের ধারণা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভ্যাট অফিসের গঠন, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, তথ্য প্রচার অভিযান এবং অনলাইন সেবা ব্যবস্থা। বর্তমানে ভ্যাট বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি সরকারি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
Please login or Register to submit your answer