জ্যামিতিতে একটি মৌলিক ধারণা হলো কোণ। যখন দুটি রশ্মি (Rays) একই প্রান্তবিন্দু থেকে একই সমতলে (Plane) প্রসারিত হয়, তখন সেই বিন্দুতে যে ঘূর্ণন বা ব্যবধান সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় কোণ।
ধরা যাক, রশ্মি দুটি হলো OA ও OB, এবং তারা O বিন্দুতে একত্রিত হচ্ছে → তখন ∠AOB হলো কোণ।
কোণের প্রকারভেদ:
তীক্ষ্ণ কোণ (Acute Angle) — ০° < কোণ < ৯০°
সমকোণ (Right Angle) — কোণ = ৯০°
অতিতীক্ষ্ণ কোণ (Obtuse Angle) — ৯০° < কোণ < ১৮০°
সরাসরি কোণ (Straight Angle) — কোণ = ১৮০°
পূর্ণ কোণ (Full Angle) — কোণ = ৩৬০°
কোণের পরিমাপের একক:
ডিগ্রি (°) — যেমন ৯০°
রেডিয়ান (π রেডিয়ান = ১৮০°)
ব্যবহার:
গণিতের জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও বৃত্ততত্ত্বে
স্থাপত্য নির্মাণে
মেশিন ডিজাইন, রোবোটিক্স, কম্পিউটার গ্রাফিক্সে
এছাড়া কোণ ব্যবহার করে আমরা দিক নির্ধারণ, ঘূর্ণন ও গতি বিশ্লেষণও করতে পারি। এই কারণে কোণ গণিতের এক অপরিহার্য উপাদান।
Please login or Register to submit your answer