বাংলা ভাষায় ধ্বনিবিজ্ঞান অনুসারে, ‘ড়’ ও ‘ঢ়’ ধ্বনিদ্বয়কে বলা হয় তাড়নজাত ধ্বনি। অর্থাৎ এগুলো ‘ড’ ও ‘ঢ’ ধ্বনির বিশেষ রূপ, যা বাংলার ধ্বনিতত্ত্বে পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে।
ধ্বনিগত দিক থেকে:
‘ড’ → ‘ড়’
‘ঢ’ → ‘ঢ়’
এই পরিবর্তন ঘটে ভাষার স্বাভাবিক উচ্চারণরীতির কারণে। এটি তদ্ভব ও দেশজ শব্দে বেশি দেখা যায়।
উদাহরণ:
বাঙালি বলে “ঘোড়া”, যা সংস্কৃত “ঘটট” শব্দ থেকে এসেছে।
“বড়” শব্দের মূল রূপ “বৃদ্ধ”।
এই ধ্বনিদ্বয় (ড়, ঢ়) বাংলার নিজস্ব, যা সংস্কৃত বা হিন্দিতে নেই। তাই এগুলোকে “বাংলার নিজস্ব তাড়নজাত ধ্বনি” বলা হয়।
তাড়নজাত বলতে বোঝায়—একটি মৌলিক ধ্বনিকে (ড/ঢ) এমনভাবে উচ্চারণ করা হয়, যাতে তা এক নতুন, চলতি ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে এর উচ্চারণ আরও সহজ ও মসৃণ হয়, যা বাংলা ভাষার স্বরূপের সঙ্গে মানানসই।
এই ধ্বনির ব্যবহার বাংলা শব্দগঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন—এই ধ্বনিগুলোর ব্যবহার চর্চা করা এবং বুঝে নেয়া কোন ক্ষেত্রে ‘ড়’ ও ‘ঢ়’ ব্যবহৃত হবে।
Please login or Register to submit your answer