প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী জাতিসত্তার পরিচয় জেনে গৌরব বোধ করে। বাংলাদেশেরও আছে গৌরব করার মতো ইতিহাস, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, বিজয় ছিনিয়ে আনার ইতিহাস। প্রায় দুইশত বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং ২৩ বছরের পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত পরিণতিতে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম হয়েছে একটি নতুন স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ।
বাঙালি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ও আত্ম-অনুসন্ধান করতে এবং জাতির পরিচয় অনুসন্ধান করতে হলে ইতিহাস পড়তে হবে, চর্চা করতে হবে। কারণ ইতিহাস ঘটনার অনুসন্ধানকৃত, গবেষণালব্ধ, প্রতিষ্ঠিত সত্য উপস্থাপন করে। এজন্য ইতিহাস সম্পর্কে গভীর অনুসন্ধান করতে হলে ইতিহাসের উপাদান ও প্রকারভেদ সম্পর্কেও জানতে হবে।
এজন্য আগে আমাদের জানতে হবে ইতিহাস কী? জানতে হবে কত ধরনের ইতিহাস লেখা যায় বা ইতিহাস কত ধরনের হয় । ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তাই বা কী? এই অধ্যায়ে এসব বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।