ভূমিকা
চরিত্র হলো মানুষের এমন এক অভ্যন্তরীণ শক্তি, যা তার ন্যায়বোধ, নৈতিকতা ও জীবনাদর্শের ঘনিষ্ঠ অংশ। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই ভালো-মন্দের মিশ্রণ থাকে। যদি মন্দ দিকটি প্রাধান্য পায়, তাহলে সেই মানুষকে দুশ্চরিত্র বলা হয়। বিপরীতে, যে ব্যক্তি সততা, ন্যায়ের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিবেকসম্পন্ন আচরণে অভ্যস্ত, তিনি সচ্চরিত্ররূপে গণ্য হন। আত্মশক্তির দৃঢ়তা, অধ্যবসায় এবং সংযম ইত্যাদি গুণ সচ্চরিত্রেরই অংশ। ব্যক্তিজীবনের ভিত্তি হয় চরিত্রের উপর, যা সমাজ ও পরিবেশেও গভীর প্রভাব ফেলে।
চরিত্র কী
‘চরিত্র’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Character’, যার উৎপত্তি গ্রিক ‘kharaktēr’ শব্দ থেকে। আদিতে এর অর্থ ছিল ‘চিহ্ন’, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা মানুষের আচরণ, আদর্শ এবং নৈতিক গুণের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
চরিত্রের দুটি দিক রয়েছে—সচ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্র। সচ্চরিত্র গঠিত হয় ইতিবাচক মানবিক গুণাবলির সমন্বয়ে, যেমন: সততা, সংযম, সহানুভূতি, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমাশীলতা ও কর্তব্যবোধ। অন্যদিকে, যদি মানুষের চরিত্রে হিংসা, স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা বা দুর্নীতি প্রাধান্য পায়, তবে তা দুশ্চরিত্র বলে বিবেচিত হয়।
চরিত্র হলো মানুষের এক অমূল্য ও অবিনাশী সম্পদ। চরিত্রবান ব্যক্তি সমাজের শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার। যেমন মুকুট রাজাকে মহিমান্বিত করে, তেমনি চরিত্র মানুষের জীবনের মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মানুষের জীবনে চরিত্রের গুরুত্ব ভাষায় সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায় না। কেবল চরিত্রের বলেই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারেন শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয় ও অনুকরণীয়। বিদ্যা মানুষের উন্নতির জন্য অপরিহার্য হলেও, চরিত্র ছাড়া সেই বিদ্যা অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। প্রবাদ রয়েছে:
‘দুর্জন বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য।’
কারণ, জ্ঞানী হলেও যদি কেউ নীতিহীন হন, তবে তার বিদ্যা সমাজের অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
প্রসঙ্গত, একটি উক্তি স্মরণযোগ্য—
“অমরত্বের সুধা পান না করেও মানুষ অমর হতে পারে কেবল চরিত্রের গুণে।”
তাই ব্যক্তির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত চরিত্রের উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন। কারণ, চরিত্রই মানুষের জীবনপথ ও ভাগ্য নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
চরিত্র গঠনমূলক শিক্ষার লক্ষ্য
চরিত্র গঠনের জন্য শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ব্যক্তির চিন্তাশক্তি, বিবেক ও আচরণকে সমাজগ্রাহ্য ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। এজন্য শিক্ষায় কিছু মৌলিক দিককে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন:
১. মানবিক গুণাবলি: ধৈর্য, সাহস, আনুগত্য, সততা, সৌজন্য, কৃতজ্ঞতা, বিশ্বস্ততা, পরোপকার ইত্যাদি গুণের চর্চা।
২. আচরণগত অভ্যাস: শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা, সহিষ্ণুতা, শিষ্টাচার ও পরমতসহনশীলতা।
৩. দেশপ্রেম ও মানবতা: অসাম্প্রদায়িক চেতনা, জাতীয়তাবোধ, আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবপ্রেম।
৪. নেতিবাচক মনোভাবের বর্জন: হিংসা, বিদ্বেষ, কুটিলতা, অহঙ্কার প্রভৃতি পরিহার এবং বদ অভ্যাস দমন।
৫. ন্যায় ও কল্যাণবোধ: ন্যায়বিচার, মানবকল্যাণ ও পরহিতব্রত জীবনের চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ।
শিক্ষার মাধ্যমে চরিত্র গঠনের পদ্ধতি
দেশ ও কালের প্রেক্ষিতে চরিত্র গঠনের শিক্ষায় ভিন্নতা থাকলেও একটি বিষয় সর্বজনস্বীকৃত—প্রাচীনকাল থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় চরিত্র গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে আসছে। সাধারণত এই শিক্ষায় দুইটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়: প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ।
প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয় ন্যায়নীতি শিক্ষা, নৈতিক মান গঠন, সততা, সৌন্দর্যবোধ, কৃতজ্ঞতাবোধ, সৌজন্যতা এবং পরিবেশ ও প্রাণিকুলের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টির ওপর। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিত্বে সুঅভ্যাস ও চারিত্রিক গুণাবলি গড়ে তোলা।
পরোক্ষ পদ্ধতির মাধ্যমে ইতিহাস, জীবনী, সাহিত্য ও সমাজজীবনের গল্প থেকে নৈতিক মূল্যবোধ ও আচার-আচরণ শেখানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের মনে আদর্শ চরিত্রের প্রতি আকর্ষণ ও অনুপ্রেরণা জন্ম নেয়।
শুধু বিদ্যালয় নয়, চরিত্র গঠনে পরিবার, প্রতিবেশী ও সামাজিক সংগঠন যেমন—বয় স্কাউট, গার্ল গাইড, রেডক্রস প্রভৃতিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। এই সংগঠনগুলো যৌথ কাজের আনন্দ ও দায়িত্ববোধ শেখায়।
শিশু বয়সে চরিত্র গঠন
শিশুকালেই চরিত্র গঠনের বীজ রোপিত হয়। এই সময় উপযুক্ত পরিবেশ ও দিকনির্দেশনা প্রদান জরুরি। শিশুকে সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহ দিলে তার সৃজনশীল প্রতিভা বিকশিত হয়। তবে এর জন্য চাই সৎ সঙ্গ ও ইতিবাচক প্রভাব। পিতা-মাতা ও আশপাশের মানুষ যদি সচ্চরিত্রের অধিকারী না হন, তবে শিশুর চরিত্র বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
এছাড়া বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষকগণ শুধুই পাঠদাতা নন, তাঁরা হলেন মূল্যবোধ গঠনের পথপ্রদর্শক।
বর্তমানে টেলিভিশন ও স্যাটেলাইট চ্যানেল শিশুদের চরিত্র গঠনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। অনেক অনুষ্ঠান শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদের অনুষ্ঠান নির্বাচন ও পর্যবেক্ষণে সদা সচেতন থাকা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সৎ সঙ্গ নিশ্চিত করা। কারণ শিশুরা সহজেই পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। কুসঙ্গের কারণে বহু সম্ভাবনাময় প্রতিভা অকালে ঝরে যায়। প্রবাদ আছে—
“সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।”
চরিত্র গঠনের সাধনা
চরিত্র গঠনে আত্মপ্রচেষ্টা ও সাধনা অপরিহার্য। লোভ, লালসা ও কুপ্রবৃত্তির হাতছানি থেকে নিজেকে রক্ষা করাই চরিত্রবান ব্যক্তির প্রধান চ্যালেঞ্জ। এজন্য প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল ও আত্মসংযম।
ইংরেজিতে বলা হয়:
“When money is lost, nothing is lost;
When health is lost, something is lost;
When character is lost, everything is lost.”
অর্থাৎ চরিত্র হারালে মানুষ তার আসল মূল্য হারায়। এজন্যই মানুষকে আমৃত্যু তার চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে হয়।
মহৎ চরিত্রের দৃষ্টান্ত
পৃথিবীর ইতিহাসে যাঁরা চিরস্মরণীয়, তাঁরা সবাই ছিলেন চরিত্রের দিক থেকে অনন্য। প্রলোভন, ভয় কিংবা ক্ষমতার মোহ তাঁদের ন্যায় ও সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তেমনি ছিলেন বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, মহাত্মা গান্ধী, শেরে বাংলা, ড. শহীদুল্লাহ, মওলানা ভাসানী প্রমুখ মানবপ্রেমী ও সমাজসেবী মহান চরিত্রের মানুষ। তাঁদের মৃত্যুতে সমগ্র মানবজাতি কেঁদেছে। কবির সেই অমর বাণী তাঁদের জীবন দর্শনকেই প্রতিফলিত করে:
“এমন জীবন হবে করিতে গঠন,
মরণে হাসিবে তুমি, কাঁদিবে ভুবন।”
চরিত্রবান ব্যক্তি ধন, বিদ্যা কিংবা বংশের দিক দিয়ে ক্ষুদ্র হলেও হৃদয়ের গৌরবে তিনি অসাধারণ। যেমনটি বলা হয়েছে:
“রাজার প্রতাপ অর্থ-সম্পদে, কিন্তু চরিত্রবানের প্রতাপ হৃদয়ে।”
উপসংহার
আজকের ভোগবাদী সমাজে চারিত্রিক অবক্ষয় এক গভীর সংকট। নৈতিকতা হারিয়ে মানুষ ক্রমেই অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন চরিত্রশক্তির নবজাগরণ। নতুন প্রজন্মকে চরিত্রবান করে গড়ে তুলতেই হবে, নইলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে বিলীন হবে।
চরিত্রই হোক জাতি গঠনের মেরুদণ্ড। চরিত্রবান প্রজন্মই গড়বে এক সুন্দর, উন্নত ও আলোকিত ভবিষ্যৎ।
একই রচনা আরেকটি বই থেকে সংগ্রহ করে দেয়া হলো
ভূমিকা
চরিত্র এমন এক গুণ যা মানুষের আচরণ, চিন্তা ও আদর্শের উৎকর্ষ প্রকাশ করে। এটি মানব জীবনের অভ্যন্তরীণ পবিত্রতার প্রতিচ্ছবি। মানুষের চিন্তা, বাক্য ও কর্মে যখন নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটে, তখনই আমরা তাকে চরিত্রবান বলি। চরিত্র মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করে এবং তাকে করে তোলে সমাজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ইংরেজ লেখক স্যামুয়েল স্মাইলস যথার্থই বলেছেন—
“The crown and glory of life is character.”
চরিত্রের উপাদান ও বৈশিষ্ট্য
সততা, সত্যনিষ্ঠা, পরোপকারিতা, দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা, ও অধ্যবসায়—এই সব গুণ চরিত্রের ভিত্তি নির্মাণ করে। যখন এ গুণগুলো মানুষ নিজের জীবনে আত্মস্থ করে এবং দৈনন্দিন ব্যবহারে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ করতে পারে, তখনই তার মধ্যে গড়ে ওঠে উত্তম চরিত্র। এই গুণাবলি শুধুই ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক ও জাতীয় কল্যাণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো:
১. ধৈর্য, সাহস, আনুগত্য, সৌজন্য, নির্ভরযোগ্যতা, কৃতজ্ঞতাবোধ;
২. শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা, সহিষ্ণুতা, শিষ্টাচার;
৩. দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবপ্রেম, আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব;
৪. হিংসা, বিদ্বেষ, কুটিলতা ইত্যাদি পরিহার এবং বদ অভ্যাস দমন;
৫. ন্যায়বিচার ও মানবকল্যাণকে জীবনের চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ।
সচ্চরিত্রের লক্ষণ
সচ্চরিত্র ব্যক্তি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকেন। তিনি লোভ, মায়া ও মোহের শৃঙ্খল ছিন্ন করে জীবনের মহান আদর্শকে ধারণ করেন। তিনি ক্রোধ, অহঙ্কার, গর্ব, নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি পরিহার করেন এবং সত্যবাদিতা, সংযম ও ন্যায়পরায়ণতায় নিজেকে গড়ে তোলেন। চরিত্রবান মানুষ সমাজের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
সচ্চরিত্রের ফল
চরিত্র মানুষের জীবনের গৌরব। যার চরিত্র উন্নত, সে সামাজিকভাবে শ্রদ্ধেয়, বিশ্বস্ত ও আদরণীয়। তার মধ্যে মানবীয় গুণাবলি বিকশিত হয় এবং সে হয় জাতির সম্পদ।
চরিত্র গঠনের সময় ও উপায়
চরিত্র গঠনের কাজ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলে। এর জন্য পারিবারিক, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. পরিবারের ভূমিকা
শৈশবকালই চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ সময়। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়, তাই তাদের সামনে সৎ ও আদর্শবান আচরণ উপস্থাপন করা জরুরি।
গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন ও স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রভাবও গভীর। উপযুক্ত নয় এমন কনটেন্ট থেকে শিশুদের দূরে রাখা অভিভাবকদের দায়িত্ব।
২. সামাজিক প্রভাব
পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বিদ্যালয়—সব মিলিয়ে সমাজ একটি শিশুর চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। সহপাঠীদের সঙ্গ ও শিক্ষকদের আচরণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পারিপার্শ্বিক অবস্থা
সুস্থ পরিবেশে মানুষ যেমন সুশীল হয়ে ওঠে, তেমনি কুসংসর্গ তাকে বিপথে নিয়ে যায়। সেজন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকা আবশ্যক।
৪. স্বীয় সাধনা
চরিত্র গঠনের প্রধান শর্ত হচ্ছে আত্মসাধনা। প্রলোভনের বিরুদ্ধে লড়াই করে, নিজেকে সংযত রেখে ও আদর্শে অটল থেকে চরিত্র গঠিত হয়। দুর্বল মনোবলসম্পন্ন মানুষ চরিত্র গঠনে অক্ষম।
মহাপুরুষদের উদাহরণ
হযরত মোহাম্মদ (স), ঈসা (আ), মহাত্মা গান্ধী, বিদ্যাসাগর, হাজী মোহাম্মদ মহসীন প্রমুখ মহাপুরুষরা তাঁদের চরিত্রের শক্তিতেই পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন। তাঁরা মানুষের কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
চরিত্রহীন ব্যক্তির পরিণতি
চরিত্রহীন ব্যক্তি সমাজের জন্য বোঝা, পশুর চেয়েও অধম। শিক্ষা, অর্থ বা স্বাস্থ্য যতই থাকুক, চরিত্র না থাকলে তা সবই বৃথা। সত্যিকারের সৌন্দর্য আসে চরিত্র থেকেই।
উপসংহার
চরিত্র হচ্ছে মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যা প্রাচুর্য দিয়েও কেনা যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের লক্ষ্য হওয়া উচিত চরিত্রবান হওয়া। ইংরেজি একটি প্রবাদে বলা হয়—
“When money is lost, nothing is lost;
When health is lost, something is lost;
But when character is lost, everything is lost.”