সকল প্রশ্নCategory: বাংলা ব্যাকরণ‘অপরাজেয় বাংলা’ নাম-বিশেষ্যের কী নাম প্রকাশ করে?
Preparation Staff asked 4 months ago

‘অপরাজেয় বাংলা’ নাম-বিশেষ্যের কী নাম প্রকাশ করে?

ক) ব্যক্তি নাম
খ) সৃষ্টি নাম
গ) স্থাননাম
ঘ) কালনাম

1 Answers
Preparation Staff answered 4 months ago

উত্তর: খ) সৃষ্টি নাম

ব্যাখ্যা :

বাংলা ভাষায় নাম-বিশেষ্য বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত, যেমন ব্যক্তি নাম, সৃষ্টি নাম, স্থাননাম, ও কালনাম। এদের প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ও প্রয়োগ নির্দেশ করে। 'অপরাজেয় বাংলা' একটি সুপরিচিত নাম, যা একটি নির্দিষ্ট ভাস্কর্যকে বোঝায়। এই কারণে এটি ‘সৃষ্টি নাম’-এর অন্তর্ভুক্ত।

‘অপরাজেয় বাংলা’ কী?

‘অপরাজেয় বাংলা’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় প্রতীক হিসেবে পরিচিত একটি বিখ্যাত ভাস্কর্য। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরে। ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।

‘অপরাজেয় বাংলা’ কেন সৃষ্টি নাম?

সৃষ্টি নাম সেইসব নাম-বিশেষ্যকে বোঝায় যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বারা নির্মিত, সৃষ্ট বা গঠিত হয়। যেমন, কোনো শিল্পকর্ম, সাহিত্যকর্ম, ভাস্কর্য, সংগীত, সিনেমা ইত্যাদির নাম সৃষ্টি নামের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু ‘অপরাজেয় বাংলা’ একটি নির্মিত ভাস্কর্য, এটি একটি সৃষ্টি নাম।
বিপরীতে,

  • ব্যক্তি নাম: নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বহন করে (যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেখ মুজিবুর রহমান)।
  • স্থাননাম: কোনো ভৌগোলিক স্থান নির্দেশ করে (যেমন: ঢাকা, সুন্দরবন)।
  • কালনাম: কোনো নির্দিষ্ট সময় বা যুগ নির্দেশ করে (যেমন: গ্রীষ্মকাল, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়)।

উপসংহার

‘অপরাজেয় বাংলা’ নামটি কোনো ব্যক্তি, স্থান বা নির্দিষ্ট সময় নির্দেশ করে না, বরং এটি একটি কৃত্রিম ভাস্কর্য, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রকাশ করে। তাই এটি সৃষ্টি নাম-বিশেষ্যের অন্তর্ভুক্ত। এটি আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গৌরব সম্পর্কে শিক্ষিত করতে সহায়ক।