উপজাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন বলতে বোঝায় আদিবাসী বা উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত রাজনৈতিক কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা। এটি সাধারণত আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাইরে পরিচালিত হয় এবং সামাজিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের ওপর নির্ভরশীল। উপজাতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান উপাদানসমূহ হল:
- নেতৃত্ব (Leadership) – উপজাতীয় সমাজে নেতৃত্ব সাধারণত বয়োজ্যেষ্ঠদের, প্রধানদের (Chief), অথবা শামানদের হাতে থাকে। কিছু সমাজে এটি উত্তরাধিকারসূত্রে আসে, আবার কিছু সমাজে এটি অর্জিত মর্যাদার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
- নিয়ন্ত্রণ ও আইন (Social Control & Laws) – লিখিত আইন না থাকলেও প্রথাগত আইন ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাধারণত সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে হয়।
- বিচার ব্যবস্থা (Judicial System) – বিচার ব্যবস্থা অনানুষ্ঠানিক হলেও প্রথাগত নিয়ম, ট্যাবু, এবং সামাজিক শাস্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে বয়োজ্যেষ্ঠদের সভার মাধ্যমে এর মীমাংসা করা হয়।
- সম্পদ বণ্টন (Resource Distribution) – উপজাতীয় সমাজে সাধারণত সমবণ্টন নীতি অনুসরণ করা হয়, যেখানে সম্পদ ব্যক্তিগত মালিকানার চেয়ে গোষ্ঠীগত স্বার্থে ব্যবহৃত হয়।
- যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষা (Warfare & Defense) – অনেক উপজাতীয় গোষ্ঠীতে সংঘাত নিরসনের জন্য ঐতিহ্যগত রীতি রয়েছে, যেমন যুদ্ধের পরিবর্তে প্রতীকী প্রতিযোগিতা বা আলোচনা করা হয়। তবে কিছু সমাজে সামরিক সংগঠনের অস্তিত্বও দেখা যায়।
Please login or Register to submit your answer