কচুশাক একটি পরিচিত শাকসবজি, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই শাক শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ বা আয়রন (Iron), যা মানুষের শরীরের জন্য এক অত্যাবশ্যক খনিজ পদার্থ।
লৌহ আমাদের দেহে রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য অপরিহার্য। হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ না থাকলে হিমোগ্লোবিন তৈরি ব্যাহত হয় এবং এতে রক্তাল্পতা (Anemia) দেখা দিতে পারে, যার লক্ষণ হিসেবে দেখা যায় ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। এই কারণে কচুশাক লৌহের একটি প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে যারা উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে পুষ্টি গ্রহণ করেন, তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
কচুশাকের লৌহ সহজে শোষিত না হলেও, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন লেবু, আমলকী বা টমেটোর সঙ্গে খেলে শরীর সহজে এটি শোষণ করতে পারে। এই কারণে কচুশাক রান্নার সময় টমেটো বা লেবুর রস দেওয়া অত্যন্ত কার্যকর।
কচুশাক শুধু লৌহ নয়, আরও নানা খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফাইবারও সরবরাহ করে। তবে মনে রাখতে হবে, কচুশাকে উপস্থিত কিছু অক্সালেট যৌগ রান্না না করলে বা সঠিকভাবে না প্রক্রিয়াজাত করলে তা হজমে সমস্যা করতে পারে। সেজন্য কচুশাক ভালোভাবে সিদ্ধ বা রান্না করে খাওয়াই ভালো।
Please login or Register to submit your answer