এই উক্তিটি এসেছে মুনীর চৌধুরী রচিত ঐতিহাসিক নাটক “সিরাজউদ্দৌলা” থেকে। এই নাটকটি ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ এবং বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত। উক্ত উক্তিটি নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র সিরাজ নিজেই বলেন, যা তাঁর শাসকসত্তা ও নৈতিক দ্বিধার বহিঃপ্রকাশ।
এখানে সিরাজ প্রশ্ন তুলছেন—একজন শাসকের প্রতিক্রিয়া যদি সর্বদা কঠোর হয়, যদি শাস্তিই হয় একমাত্র পথ, তবে তা কী প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচায়ক? এটি শুধুই একটি রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক মন্তব্য নয়, বরং একজন শাসকের নৈতিক দ্বন্দ্ব, ক্ষমতা ও মানবতার মাঝে সংগ্রামের ইঙ্গিত দেয়।
নাটকটিতে সিরাজ একদিকে কিশোর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করে; অন্যদিকে তাঁকে নানা ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা ও ইংরেজ বেনিয়াদের রাজনৈতিক চালের মুখোমুখি হতে হয়। এই ধরনের উক্তির মাধ্যমে নাট্যকার বোঝাতে চেয়েছেন, ক্ষমতা ও করুণা—দুইয়ের ভারসাম্যই একটি রাষ্ট্রনায়কের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
এই উক্তি বাংলা নাট্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক ও রাজনৈতিক প্রশ্নগুলোর একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় শুধু কে বলেছেন তা জানলেই যথেষ্ট নয়, বরং তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বোঝাও জরুরি।
Please login or Register to submit your answer