গবেষণা প্রতিবেদন (Research Report) হলো একটি লিখিত দলিল, যেখানে গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং উপসংহার উপস্থাপন করা হয়। এটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশের একটি আনুষ্ঠানিক মাধ্যম।
গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- ব্যবহারিক তথ্য – গবেষণার বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়।
- সংগঠিত কাঠামো – ভূমিকা, গবেষণা পদ্ধতি, তথ্য বিশ্লেষণ ও উপসংহারসহ সুসংগঠিত আকারে লেখা হয়।
- পরীক্ষাযোগ্য তথ্য – প্রতিবেদন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যৌক্তিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে।
- প্রমাণভিত্তিক উপসংহার – গবেষণার ফলাফল ও সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন লেখার প্রধান ধাপ:
- ভূমিকা (Introduction) – গবেষণার বিষয় ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয়।
- সাহিত্য পর্যালোচনা (Literature Review) – পূর্ববর্তী গবেষণার বিশ্লেষণ করা হয়।
- গবেষণা পদ্ধতি (Methodology) – তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়।
- উপাত্ত বিশ্লেষণ (Data Analysis) – গবেষণার তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়।
- উপসংহার (Conclusion) – গবেষণার ফলাফল ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
উদাহরণ:
- "বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: একটি সমাজবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।"
- "শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রভাব: একটি পরিসংখ্যানগত গবেষণা।"
Please login or Register to submit your answer