‘চর্যাপদ’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন। এটি একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় গীতি সাহিত্য, যা সহজিয়া ধারার বৌদ্ধ কবিদের দ্বারা রচিত হয়েছিল।
চর্যাপদের পরিচিতি
- রচনার সময়কাল: আনুমানিক ১০ম-১২শ শতক
- ভাষা: প্রাকৃত ও আদিম বাংলা
- লেখক: লুইপা, কাহ্নপা, ভুসুকুপা প্রমুখ
- বিষয়বস্তু: দেহতত্ত্ব, সাধনামূলক দর্শন ও বৌদ্ধমতের শিক্ষা
নেপালে প্রাপ্তি
১৯০৭ সালে নেপালের রাজগুরু রাজেন্দ্রলাল মল্লিকের গ্রন্থাগারে গবেষণা করতে গিয়ে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন। পরে এটি প্রকাশিত হয় ‘হাজার বছরের পুরোনো বাংলা ভাষায় লেখা পুঁথি’ নামে।
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে আজও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে।
Please login or Register to submit your answer