‘প্রাকৃত’ শব্দটির অর্থ ‘স্বাভাবিক’।
‘প্রাকৃত’ শব্দের ব্যুৎপত্তি ও অর্থ
‘প্রাকৃত’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে।
- ‘প্রাক’ অর্থ ‘আগে’ বা ‘প্রাথমিক’।
- ‘ঋত’ অর্থ ‘প্রকৃতি’ বা ‘স্বাভাবিকতা’।
- সমষ্টিগতভাবে ‘প্রাকৃত’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ‘স্বাভাবিক ভাষা’।
প্রাকৃত ভাষার পরিচিতি
প্রাচীন ভারতে সংস্কৃত ভাষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা ছিল প্রাকৃত। এটি ছিল এক ধরনের লোকভাষা, যা রাজসভায় ব্যবহৃত হত না, কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
প্রাকৃত ভাষার বৈশিষ্ট্য
- এটি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত হলেও সরল এবং সহজবোধ্য।
- বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব রয়েছে।
- সংস্কৃতের কঠোর ব্যাকরণের নিয়ম এতে তেমনভাবে নেই।
প্রাকৃত ভাষার বিভিন্ন রূপ
- মাগধী প্রাকৃত – পূর্ব ভারতের প্রচলিত ভাষা।
- শৌরসেনী প্রাকৃত – মধ্য ভারতের ভাষা, যা পরবর্তীতে হিন্দির বিকাশে ভূমিকা রাখে।
- অর্ধমাগধী প্রাকৃত – জৈন গ্রন্থগুলোতে ব্যবহৃত ভাষা।
উপসংহার:
প্রাকৃত ভাষা ভারতীয় ভাষাগুলোর বিকাশের মূল ধারা হিসেবে কাজ করেছে এবং এটি বাংলা ভাষার উৎপত্তিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
Please login or Register to submit your answer