বাংলা ভাষায় যতিচিহ্ন ব্যবহারের সুবিন্যাস কে সাধন করেছিলেন?

বাংলা ভাষায় যতিচিহ্ন ব্যবহারের সুবিন্যাস বা যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার নিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম মহান reformer ও আধুনিকতার প্রবক্তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে গঠনের জন্য বহুমুখী অবদান রেখেছিলেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাষাগত অবদান:

• বিদ্যাসাগর ভাষার শুদ্ধতা, সহজবোধ্যতা ও গ্রন্থসাহিত্যকে আধুনিক করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

• বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীলতা ও মননশীলতার বিকাশে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ, যা তাকে ঐতিহাসিকভাবে একজন ভাষাশাস্ত্রী ও সমাজসংস্কারক হিসেবে পরিচিত করেছে।

যতিচিহ্নের ব্যবহারে বিদ্যাসাগরের অবদান:

• তিনি বাংলা ভাষায় যতিচিহ্ন বা punctuation marks-এর ব্যবহার আধুনিকভাবে বিশৃঙ্খল ব্যবহার থেকে শৃঙ্খলায় পরিণত করেন।

• বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষায় কমা, full stop, ঊর্ধ্বতন বাচ্য চিহ্ন, উদ্ধৃতি চিহ্ন ও তিনবিন্দু (ellipsis)-এর সঠিক ব্যবহার এবং সেগুলির স্থান নির্ধারণের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করেন।

প্রভাব ও গুরুত্ব:

• তাঁর এই অবদান বাংলা লেখাকে আরও সুশৃঙ্খল, পরিষ্কার ও অনুধাবনযোগ্য করে তুলেছিল।

• বিদ্যাসাগরের এই ভাষাগত সংস্করণ প্রাথমিকভাবে বাংলা সাহিত্যের উন্নতি এবং পরবর্তী লেখকদের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করে।

বিদ্যাসাগরের ব্যাকরণ এবং ভাষাশাস্ত্রের উন্নতির জন্য তাঁকে বাংলার আধুনিকতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক হিসেবে গণ্য করা হয়।