রঞ্জন রশ্মি বা X-Ray আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার। এর মাধ্যমে মানুষের শরীরের ভেতরের হাড়, ফুসফুস, দাঁত ইত্যাদি অংশকে দেখা সম্ভব — তাও অস্ত্রোপচার ছাড়াই! এই বিস্ময়কর রশ্মির আবিষ্কারক ছিলেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী উইলহেম কনরাড রন্টজেন।
১৮৯৫ সালে রন্টজেন একদিন ক্যাথোড রশ্মি নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, বন্ধ টিউবের ভেতরে থাকা এক ধরণের অদৃশ্য রশ্মি কাছের ফ্লুরোসেন্ট পর্দায় আলো সৃষ্টি করছে। পরে তিনি দেখলেন, এই রশ্মি মানুষের হাতের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে কিন্তু হাড়ে আটকে যায় — ফলে হাড়ের ছবি তোলা সম্ভব হয়। তিনি এই অজানা রশ্মির নাম দেন "X-ray", যেখানে X মানে অজানা।
এই আবিষ্কারের জন্য রন্টজেন ১৯০১ সালে ইতিহাসের প্রথম নোবেল পুরস্কার (পদার্থবিজ্ঞান) লাভ করেন।
X-Ray-এর ব্যবহার:
চিকিৎসায় হাড় ভাঙা, দাঁতের সমস্যা, ফুসফুস পরীক্ষা
শিল্পে ধাতুর অভ্যন্তরীণ ত্রুটি অনুসন্ধান
নিরাপত্তা স্ক্যানার (বিমানবন্দর, আদালত)
গবেষণাগারে পদার্থের গঠন বিশ্লেষণে (X-ray crystallography)
আজ রঞ্জন রশ্মি ছাড়া আধুনিক চিকিৎসা ও প্রযুক্তি কল্পনাও করা যায় না।
Please login or Register to submit your answer