অর্থবাচকতা বলতে বোঝায়, কোনো শব্দ নিজে স্বতন্ত্রভাবে কোনো অর্থ প্রকাশ করতে পারে কি না। আর অর্থদ্যোতকতা বোঝায়, কোনো শব্দ বা শব্দাংশ অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করতে পারে কি না।
উপসর্গ নিজে কোনো পূর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, তাই এতে অর্থবাচকতা নেই। তবে, এটি যখন কোনো শব্দের আগে বসে, তখন নতুন অর্থ বা পরিবর্তিত অর্থ প্রকাশ করে—এটি তার অর্থদ্যোতকতা।
উদাহরণস্বরূপ,
- ‘নি’ + ‘শ্চয়’ = ‘নিশ্চয়’ (অর্থ প্রকাশ করে দৃঢ়তা)
- ‘অতি’ + ‘শয়’ = ‘অতিশয়’ (অর্থ প্রকাশ করে অতিরিক্ততা)
- ‘দুর’ + ‘বস্থা’ = ‘দুরবস্থা’ (অর্থ প্রকাশ করে খারাপ অবস্থা)
এগুলোই উপসর্গের অর্থদ্যোতকতার উদাহরণ।
উপসর্গ একা কোনো অর্থ প্রকাশ না করলেও, এটি নতুন শব্দ গঠনের মাধ্যমে ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বাংলা ভাষায় সংস্কৃত, আরবি-ফারসি এবং খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে, যেগুলো বিভিন্নভাবে অর্থদ্যোতক ভূমিকা পালন করে।
Please login or Register to submit your answer