বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনীতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এটি একটি দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (Exclusive Economic Zone বা EEZ) হিসেবে গণ্য হয়।
২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে বাংলাদেশ সাগরের সম্পদ যেমন মাছ, খনিজ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার পায়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সামুদ্রিক সম্পদের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, এবং এর মধ্যে রয়েছে মাছধরা, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, এবং অন্যান্য সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের আহরণ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল হওয়ার ফলে, দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং তার আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের একটি বিশেষ দায়িত্ব তৈরি হয়। এই ২০০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রপথও অন্তর্ভুক্ত, যা আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন ও বাণিজ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত সামুদ্রিক অঞ্চলের অংশ।
Please login or Register to submit your answer