জসীম উদ্দীন রচিত 'কবর' কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি কালজয়ী ও আবেগঘন কবিতা। এটি একটি আখ্যানমূলক কবিতা, যেখানে একটি ছেলে তার দাদার কাছে জীবনের গভীর ও দার্শনিক প্রশ্ন করে। দাদার কণ্ঠে ফুটে ওঠে জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব, প্রেমের বেদনা, সামাজিক বাস্তবতা ও মৃত্যুর পরিণতি।
এই কবিতার মোট ১১৮টি পঙক্তি, যার প্রতিটি পঙক্তি আবেগ ও অন্তর্দর্শনে পূর্ণ। কবিতাটি গল্প ও আবেগ—এই দুইয়ের দুর্দান্ত সংমিশ্রণ। দাদার কণ্ঠে শোনা যায় তার প্রিয়তমার মৃত্যু, তার কবরের পাশে কাটানো সময়, এবং শেষ পর্যন্ত তার নিজের মৃত্যুর প্রতীক্ষা।
কবিতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—
কথ্য ভাষার ব্যবহার, যা সাধারণ পাঠকের কাছে সহজবোধ্য।
লোকজ আবহ, গ্রামীণ জীবন ও মৃত্যুকে ঘিরে বাঙালি সমাজের আবেগ তুলে ধরা হয়েছে।
শিল্পগুণে সমৃদ্ধ আখ্যান, যেখানে গল্পের ভিতরেই গভীর জীবনবোধ রয়েছে।
এই কবিতা পাঠ করে শিক্ষার্থীরা শুধু ভাষার সৌন্দর্যই নয়, মৃত্যুর অনিবার্যতা ও জীবনের অর্থ নিয়েও গভীরভাবে ভাবতে শেখে।
Please login or Register to submit your answer