সমাস হলো ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে একাধিক শব্দ মিলে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে এবং মধ্যবর্তী কিছু অংশ (বিশেষত ক্রিয়া বা বিভক্তি) বাদ পড়ে যায়। কর্মধারয় সমাস সে রকম এক সমাস যেখানে একটি বিশেষণ বা বিশেষ্য অন্য একটি বিশেষ্যকে ব্যাখ্যা করে।
মধ্যপদলোপী মানে হলো—দুইটি শব্দের মাঝখানের অংশ বা শব্দটি (যেমন: “এবং”, “ও”, “হইতেছে”) লোপ পায়। উদাহরণস্বরূপ:
“চালে কুমড়া” → “চালকুমড়া”
এখানে “চাল” এবং “কুমড়া”—দুইটি পৃথক শব্দ। “চালে উৎপন্ন কুমড়া” বা “চালে জন্মে এমন কুমড়া”—এই অর্থ বোঝাতে শব্দদ্বয় একত্র হয়ে “চালকুমড়া” হয়েছে।
এটি একটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কারণ:
“চাল” এবং “কুমড়া”—দুটি নামপদ।
মধ্যবর্তী অংশ (যেমন: ‘উৎপন্ন’ বা ‘জাত’) লোপ পেয়েছে।
অর্থ দাঁড়াচ্ছে: “যে কুমড়া চালে জন্মে”।
আরও কিছু মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
জলে কুমির → জলকুমির
হাতে ঘড়ি → হাতঘড়ি
মুখে অঙ্গ → মুখঅঙ্গ
বাংলা ভাষায় বহু শব্দ সমাসবদ্ধভাবে তৈরি হয়, যা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত, সুন্দর ও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। তাই ব্যাকরণে সমাস শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণক্ষমতা বাড়ায় এবং শব্দগঠন বুঝতে সাহায্য করে।
Please login or Register to submit your answer