সকল প্রশ্ন‘ডাক্তার ডাক’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Preparation Staff asked 3 days ago

বাংলা ব্যাকরণে কারক ও বিভক্তির ধারণা বাক্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারক হলো সেই সম্পর্ক বা ভূমিকা যা কোনো শব্দ বাক্যে পালন করে, এবং বিভক্তি হলো সেই বিশেষ চিহ্ন বা রূপ যা শব্দে যোগ হয়ে তার কারক নির্দেশ করে।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক:
‘ডাক্তার ডাক’ — এই বাক্যে “ডাক্তার” হল সেই ব্যক্তি যাকে ডাকা হচ্ছে। অর্থাৎ, সে ক্রিয়ার (ডাকা) উদ্দেশ্য। এই কারণে “ডাক্তার” শব্দটি কর্মকারক

কর্মকারক বুঝতে হয় যাকে বা যেটিকে কোনো কাজের দ্বারা প্রভাবিত করা হয়, তাকে। “ডাক” একটি প্রভাব বিস্তারকারী ক্রিয়া (transitive verb), আর “ডাক্তার” সেই কাজের অধীন ব্যক্তি।

এখন বিভক্তির কথা বললে দেখা যায়—“ডাক্তার” শব্দটির সাথে কোনো বিভক্তি যোগ হয়নি (যেমন: কে, কে-কে, কে-কে-কে ইত্যাদি)। অর্থাৎ, এখানে কোনো স্পষ্ট কারকচিহ্ন নেই, তাই এটিকে শূন্য বিভক্তি বলা হয়।

সারসংক্ষেপে:

  • “ডাক্তার” → কর্মকারক

  • বিভক্তি → শূন্য (কারণ কোনো যোগচিহ্ন নেই)

এই ধরনের গঠন বাংলা ভাষার কথ্য ও লেখ্য উভয় রীতিতেই ব্যবহৃত হয়। শূন্য বিভক্তি সাধারণত ক্রিয়ার সরাসরি প্রভাবভুক্ত পদে ব্যবহৃত হয়।

আরো উদাহরণ:

  • বই পড় → “বই” কর্মকারক, শূন্য বিভক্তি

  • গল্প বল → “গল্প” কর্মকারক, শূন্য বিভক্তি

শিক্ষার্থীদের এভাবে বিশ্লেষণ করে পড়লে কারক-বিভক্তি বুঝতে অনেক সহজ হয়।