যোগরূঢ় শব্দ হলো সেইসব যৌগিক শব্দ, যেগুলোর উপাদান অংশগুলোর সরল অর্থ দিয়ে পুরো শব্দের অর্থ বোঝা যায় না। বরং পুরো শব্দটি একটি নির্দিষ্ট রূপে অর্থ বহন করে, যেটি চলতি রীতিতে বদ্ধমূল হয়ে গেছে।
“জলধি” শব্দটি বিশ্লেষণ করলে:
“জল” = পানি
“ধি” (ধা ধাতু থেকে) = ধারণকারী
তবে, “জলধি” মানে সরাসরি “জল ধারণকারী বস্তু” নয়, বরং এটি সমুদ্র বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
এখানে জল এবং ধির যৌগিক অর্থ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি রূঢ় অর্থ প্রকাশিত হচ্ছে। তাই এটিকে যোগরূঢ় শব্দ বলা হয়।
আরও কিছু যোগরূঢ় শব্দ উদাহরণ:
চন্দ্রশেখর = শিব (চন্দ্র ধারণ করেন যিনি)
পদ্মনয়ন = বিষ্ণু (পদ্মের মতো নয়ন যাঁর)
গজানন = গণেশ (হাতির মতো মুখবিশিষ্ট)
যোগরূঢ় শব্দের বৈশিষ্ট্য:
ব্যুৎপত্তি দিয়ে সরল অর্থ বের করা গেলেও চলিত অর্থ একেবারে আলাদা,
সাহিত্য ও ধর্মীয় টেক্সটে এসব শব্দের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
Please login or Register to submit your answer