ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ‘বাংলা গদ্যের জনক’ বলা হয় কারণ তিনি আধুনিক বাংলা গদ্য ভাষার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। তাঁর লেখা সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত, যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য ছিল। তিনি বাংলা ব্যাকরণকে সংস্কার করেন এবং শিশু শিক্ষার জন্য বহু পাঠ্যবই রচনা করেন, যেমন—“বর্ণপরিচয়”। তাঁর গদ্য রচনায় ভাষার শুদ্ধতা, যুক্তিবাদিতা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রকাশ পায়। পূর্ববর্তী সাহিত্যে সাধু ও কৃত্রিম ভাষার আধিক্য ছিল, কিন্তু বিদ্যাসাগর সেই ধারা ভেঙে সাধারণের উপযোগী ভাষার ব্যবহার চালু করেন, যা বাংলা গদ্যের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Please login or Register to submit your answer