মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থই হলো ‘দুই নদীর মাঝে ভূমি’। এই দুই নদী হলো ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস, যেগুলো বর্তমান ইরাক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদী দুটি প্রতিবছর বন্যার মাধ্যমে উর্বর পলি জমা করে, যার ফলে কৃষির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ সালের দিকে এখানে গড়ে ওঠে সুমের, আকাদ, বাবিলন ও আসিরীয় সভ্যতা। এই সভ্যতাগুলোর মানুষ কৃষি, সেচব্যবস্থা, লিখন-পদ্ধতি (কিউনিফর্ম), গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার মতো বিষয় উন্নত করেছিল। আইনব্যবস্থা, যেমন হাম্মুরাবির বিধান, এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
মেসোপটেমিয়া ছিল শহর-রাষ্ট্র ভিত্তিক। প্রতিটি শহর ছিল একটি নিজস্ব রাজ্যের মতো, যার নিজস্ব রাজা ও দেবতা থাকত। তাই এই সভ্যতা মানব ইতিহাসের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
Please login or Register to submit your answer