এই পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার গানের’ একটি বিখ্যাত কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। “যে মোরে করিল পথের বিরাগী” এই পঙ্ক্তি থেকে প্রমাণিত হয় যে রবীন্দ্রনাথ এক গভীর প্রেম, যন্ত্রণা এবং ত্যাগের কথা বলছেন, যেখানে তাঁর মন সব সময় প্রেমিক বা প্রিয়জনের স্মৃতি এবং আশায় ব্যাকুল।
বিশ্লেষণ:
এই পঙ্ক্তি এক ধরনের ব্যথিত আত্মপ্রকাশ যেখানে কাব্যিক অনুভূতি এবং ব্যক্তি জীবনের গভীর সেতুবন্ধন রয়েছে।
“পথের বিরাগী” – এটি একটি মেটাফর, যেখানে পথ, সময় এবং স্থান সমস্ত কিছু একত্রিত হয়ে প্রেমিকের মধ্যে এক অসীম বিরহ এবং বিচ্ছেদ অনুভূতির চিত্র তুলে ধরে।
পরের পঙ্ক্তি “পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি” প্রমাণ করে যে কবি প্রেমিকের জন্য এমন একটি যাত্রার মধ্যে আছেন, যেখানে কোনরূপ প্রলোভন বা পৃথিবীজগতের বাধা তাঁকে থামাতে পারে না।
সাহিত্যিক মূল্য:
রবীন্দ্রনাথের কবিতায় প্রেমের পরিপূর্ণতা ও ঐশ্বরিক প্রেমের প্রকাশ প্রতিফলিত হয়।
এই কবিতা বাংলা কাব্যের অসীম দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করে।
এটি বিশেষত বাংলার লোকগীতির মতো কবিতার মধ্যে একটি দীর্ঘকালীন সার্থকতা তৈরি করেছে, যা আজও বাংলার সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ।
Please login or Register to submit your answer