জাতিসংঘ ২০১৩ সালে রোহিঙ্গাদেরকে বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করে। এই মন্তব্যটি রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি মিয়ানমারের শাসকগণের অবিচার এবং নিপীড়নের প্রেক্ষিতে করা হয়েছিল। রোহিঙ্গারা, যারা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগণ, দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি বারবার রোহিঙ্গাদের প্রতি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নির্যাতন, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তাদেরকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এবং সন্ত্রাসী হামলার শিকার করা তাদের দুর্বিষহ অবস্থার কিছু উদাহরণ। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদেরকে নিগৃহীত জনগণের একটি বড় উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানিয়েছে।
Please login or Register to submit your answer