বাংলায় অনূদিত প্রাচীনতম আইনের উৎসস্থল হলো ভারত। বিশেষভাবে, এটি প্রাচীন ভারতের “মনুসংহিতা” বা “মনুস্মৃতি” থেকে অনুপ্রাণিত, যা একটি ধ্রুপদী ধর্ম-আইনি গ্রন্থ। এটি হিন্দু ধর্মের সামাজিক ও আইনগত বিধি নির্দেশ করে।
এই গ্রন্থটি মূলত সংস্কৃত ভাষায় লেখা হলেও, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ আমলে এটি বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়, যাতে উপমহাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর আইনি বিচার করা যায়। এই অনুবাদ মূলত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখদের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়।
“মনুসংহিতা”-তে ব্যক্তিগত আইন যেমন—
উত্তরাধিকার,
বিবাহ,
নারী অধিকার,
সমাজ শ্রেণিবিন্যাস ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণ করা ছিল। যদিও এই আইন বর্তমানে অনেকাংশে বিতর্কিত, কিন্তু ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ছিল বাংলায় অনূদিত প্রথম আইনি গ্রন্থ।
এই অনুবাদ প্রক্রিয়া থেকেই শুরু হয় বাংলায় আইনের ভাষা উন্নয়ন। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসনামলে বিভিন্ন ব্রিটিশ আইন, ফৌজদারি বিধান, দেওয়ানি আইন ইত্যাদিও বাংলায় অনূদিত হয়।
এই প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে—আইনের ভাষাও একটি সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অংশ। বাংলা ভাষায় আইন অনুবাদ করার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ আইনের ধারা সম্পর্কে সচেতন হবার সুযোগ পেয়েছিল।
Please login or Register to submit your answer