ভাষা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু ভাষা কেবল লেখার বিষয় নয়, এর প্রথম ও সবচেয়ে স্বাভাবিক রূপ হলো কথা বলা। এজন্যই বলা হয়, ভাষার মৌলিক রীতি হলো “কথা বলার রীতি”।
ভাষা শিখতে গিয়ে মানুষ প্রথমে শোনে, তারপর বলে, তারপর পড়ে, শেষে লেখে। এই ক্রমটি ভাষা বিকাশের প্রাকৃতিক ধাপ। এ কারণে:
শিশুরা প্রথমে কথা বলতে শেখে,
কথ্য ভাষা মানুষের আত্মপ্রকাশের প্রাথমিক মাধ্যম,
সকল ভাষার শব্দতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব এবং অর্থবোধ মূলত কথ্য ভাষার উপর ভিত্তি করে গঠিত।
ভাষার মৌলিক রীতি বলার অর্থ—কথ্য ভাষার মাধ্যমে মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজের চিন্তা, আবেগ ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে সেই ভাষা নিয়মিত হয়, লেখ্য রূপ পায়।
বাংলা ভাষার ইতিহাসেও আমরা দেখি, প্রাচীন বাংলার অধিকাংশ সাহিত্যের উৎস ছিল মৌখিক রীতির ভিত্তিতে। যেমন:
পালাগান,
কবিগান,
মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া গল্প ইত্যাদি।
সুতরাং, ভাষা শিক্ষায় বা ব্যাকরণ চর্চায় কথ্য রীতিকে অবজ্ঞা করা যাবে না। শ্রবণ ও কথন—এই দুই উপাদান হলো ভাষা চর্চার ভিত্তি। পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন এলে শিক্ষার্থীরা কেবল সংক্ষিপ্ত উত্তর নয়, বরং ভাষার স্বরূপ, ব্যবহার ও বিকাশ সম্পর্কে ব্যাখ্যামূলক উত্তর প্রস্তুত রাখতে পারে।
Please login or Register to submit your answer