বাংলা সাহিত্যের কাব্যভাণ্ডারে এই তিনটি সংকলন যেমন কবিত্বের দৃষ্টান্ত, তেমনি বাংলা কাব্যের তিন ভিন্ন ধারার প্রতিনিধিত্ব করে।
১. সঞ্চয়িতা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
এটি রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলোর একটি শ্রেষ্ঠ সংকলন।
এখানে "প্রেম", "দর্শন", "প্রকৃতি", "মানবতা", "জীবন ও মৃত্যু" বিষয়ক অসংখ্য কালজয়ী কবিতা রয়েছে, যেমন: “দুই বিঘা জমি”, “বিপদ”, “দুর্দিন”, “প্রার্থনা” ইত্যাদি।
এটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের চিন্তাজগত ও কাব্যরসের এক উজ্জ্বল উপস্থাপন।
২. সঞ্চিতা — কাজী নজরুল ইসলাম:
নজরুলের বিভিন্ন সময়ে রচিত কবিতার সংকলন।
“বিদ্রোহী”, “কাণ্ডারী হুঁশিয়ার”, “আনন্দময়ীর আগমনে”, “মানুষ” প্রভৃতি কবিতা এখানে অন্তর্ভুক্ত।
এই কাব্যগ্রন্থে তাঁর বিপ্লবী চেতনা, মানবতাবোধ, সাম্যবাদ ও জাতীয়তাবাদী কবিত্ব দৃশ্যমান।
৩. সুচয়নী — জসীমউদ্দিন:
গ্রামীণ জীবন, প্রকৃতি, প্রেম এবং লোকসংস্কৃতি ভিত্তিক কবিতার সংকলন।
“আসমানী”, “মা”, “পল্লী-জীবন”, “পুঁটি মাছে ভাত রেঁধে খাই” ইত্যাদি কবিতা পাঠককে সহজিয়া ভাবের মধ্যে নিয়ে যায়।
জসীমউদ্দিন এই সংকলনের মাধ্যমে “পল্লীকবি” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
এই তিন কবি বাংলা সাহিত্যে তিনটি ধারা উপস্থাপন করেছেন:
রবীন্দ্রনাথ: দর্শন ও শিল্পরস
নজরুল: বিপ্লব ও সাম্যবাদ
জসীমউদ্দিন: পল্লীবাংলার প্রাণস্পন্দন
Please login or Register to submit your answer