৩৭তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞা

৩৭তম বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞা

চেয়ারম্যান : উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সম্মানিত সদস্য, পিএসসি। সময় : ১০-১২ মিনিট। (সালাম দিয়ে স্যারের রুমে প্রবেশ করার পর বসতে বললেন। আমি ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম)

চেয়ারম্যান : দেখি আপনার ডকুমেন্টস, Introduce Yourself.

প্রার্থী : Myself Mustafizur Rahman, Son of late… (Father’s Name), from Shreebordi Upazilla under Sherpur District. I have completed my SSC from Kurikahania S K High School, HSC from Sherpur Govt. College, and Obtained by BSc in Civil Engineering from RUET. Basically I’m from Sherpur, but currently living in Dhaka for job purpose. ( এ রকম প্রায় ২ মিনিট বললাম)

চেয়ারম্যান : ওহ, শেরপুর বাসা, শেরপুরের কয়েকটি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর নাম বলুন।

চেয়ারম্যান : আমরা যারা হিন্দু-মুসলিম আছি, তারা কি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?

প্রার্থী : জি, সমতলের আমরা বাঙালি জাতিগোষ্ঠী। হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের বিশ্বাসের বিভাজন মাত্র।

পরীক্ষক -১: শেরপুরে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল। সেটার নাম বলুন, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তির নাম কী?

আরও পড়ুন :  গেঁটেবাত এর কারণ ও পরিত্রাণের উপায়

প্রার্থী : টঙ্ক আন্দোলন। (তারপর বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম বললাম, তাঁরা গ্রহণ করলেন না)

পরীক্ষক -১ : আপনি তো ইঞ্জিনিয়ার, এখন কিছু করছেন?

প্রার্থী : জি, আমি একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে আছি, যারা Alliance-এর পক্ষে কমপ্লয়েন্স দেখে। আমি সেটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলো দেখি।

পরীক্ষক -১ : তারা এ দেশে আসাতে ভালো হয়েছে নাকি মন্দ হয়েছে, ব্যাখ্যা করুন।

প্রার্থী: তারা এসে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছে, গার্মেন্টস সেক্টরসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিষয়টি নেতিবাচক। আবার যেহেতু আমাদের আয়ের বড় অংশ RMG থেকে আসে, প্রায় ৪৪ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ, যার ৮০ শতাংশ নারী এ কাজের সঙ্গে যুক্ত, এই বৃহৎ গোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই তারা আমাদের বায়ার, সে জন্য তাদের নির্দেশনা মেনে এ সেক্টরে উন্নতি করাও জরুরি। তাই আমি মনে করি, দুই পক্ষের উইন উইন সিচুয়েশন। তিনি আর কথা বাড়ালেন না।

আরও পড়ুন :  নতুন পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর

চেয়ারম্যান স্যার বললেন যে এতে শাপে বর হয়েছে, দ্রুত সময়ে এ সেক্টরে অনেক কাজ হচ্ছে। বাকি দুজন সম্মতি প্রকাশ করলেন।

পরীক্ষক-২ : প্রথম চয়েস অ্যাডমিন দিয়েছেন। আপনার পড়ালেখা এখানে কীভাবে কাজে লাগাবেন?

প্রার্থী : গৎবাঁধা কিছু বললাম— পলিসি মেকিংয়ে ভূমিকা রাখা, উন্নয়ন কার্যক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিং নলেজ কাজে লাগাব, টেকনিক্যাল পারসনের সঙ্গে অ্যাডমিনের ব্রিজ তৈরি করব, এসব। (তিনি নিলেন বলে মনে হলো না, আমিও আর কিছু বললাম না)

পরীক্ষক -১ : প্রশাসনের মূল কাজ কী?

প্রার্থী : প্রশাসনের মূল কাজ হলো সরকারের গৃহীত নীতিসমূহ বাস্তবায়ন এবং জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত সেবাসমূহ প্রদান করা ও তার ব্যবস্থাপনা।

পরীক্ষক-১: আমাদের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা কি সম্পূর্ণ স্বাধীন?

প্রার্থী: না স্যার, আমাদের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন নয়।

পরীক্ষক -১ : কেন নয়?

প্রার্থী: স্থানীয় সরকারের বাজেট কেন্দ্রীয় সরকার প্রদান করে, তাই কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত স্থানীয় সরকারে প্রতিফলিত হয়।

আরও পড়ুন :  বিশেষণ কাকে কলে? কত প্রকার ও কি কি ?

পরীক্ষক -১ : ডিসির কাজ কী কী?

প্রার্থী :
১. ফৌজদারি অপরাধের বিচারকার্য পরিচালনা করেন।
২. জেলার সার্বিক প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করেন।
৩. জেলার রাজস্ব আদায়ের সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
৪. নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরীক্ষক-২: এফ আর খানের ডিজাইন করা ভবনগুলোর বিশেষত্ব কী?

প্রার্থী : স্যার, ডিজাইনে টিউব টেকনোলজির ব্যবহার। (এফ আর খান পৃথিবী বিখ্যাত, তবে বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার, তাই হয়তো এ প্রশ্ন করেছেন)

পরীক্ষক -২ : ধরে নিচ্ছি আপনি অঙ্ক ভালো পারেন। বলেন তো কখন ১+১=১ হয় আর কখন ৩ হয়?

প্রার্থী: স্যার, বিবাহের মাধ্যমে ১+১=১ হয়, আর সন্তান হলে ৩ হয়। (এটা একটা জোকস ছিল, সৌভাগ্যক্রমে আমি পারতাম!) তাঁরা আর কিছু বললেন না।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে চেয়ারম্যান স্যার বললেন : ঠিক আছে, আসুন।

প্রার্থী : ধন্যবাদ, স্যার। আসসালামু আলাইকুম।
(সালাম দিয়ে, ডকুমেন্টস নিয়ে বের হয়ে এলাম।

Leave a Reply