পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে তুরস্ক-ইসরায়েল

পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে তুরস্ক-ইসরায়েল

১৭ আগস্ট ২০২২ পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালুর ঘােষণা দেয় ইসরায়েল ও তুরস্ক। এর ফলে আবারও দুই দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেল নিয়ােগ করা হবে।

তুরস্ক ও ইসরায়েল সম্পর্ক নতুন কিছু নয়, বরং বহু পুরােনাে। মুসলিম বিশ্বের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে তুরস্ক ২৮ মার্চ ১৯৪৯ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। অথচ ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ভাগ করে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল তুরস্ক।

আরও পড়ুন :  সর্বনাম ও সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কিত আলোচনা

স্বীকৃতির পরের বছর ১৯৫০ সালে তেল আবিবে কূটনৈতিক মিশন স্থাপন করে তুরস্ক। তখন থেকে দুই দেশের সামরিক, কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হতে থাকে।

২৭ ডিসেম্বর ২০০৮ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ৩১ মে ২০১০ তুর্কি MV Mavi Marmara জাহাজে ইসরায়েলি হামলায় ১০ বেসামরিক লােকের মৃত্যুর পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

আরও পড়ুন :  কিয়েভ সফরে ইউরােপের চার রাষ্ট্রপ্রধান

২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভবিক করার চেষ্টা চলে। কিন্তু ঐ সময় ফিলিস্তিনিদের হত্যার অভিযােগে আবার রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ৭ জুলাই ২০২১ আইজ্যাক হার্জগ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌছতে শুরু করে।

Leave a Reply