গীতিকা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

গীতিকা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: গীতিকা কী?
উত্তর: আখ্যানমূলক লোকগীতি বাংলা সাহিত্যে ‘গীতিকা’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ২: গীতিকা শব্দের ইংরেজি কী?
উত্তর: গীতিকার ইংরেজি হলো Ballad, যা ফরাসি Ballet বা নৃত্য শব্দ থেকে এসেছে।
প্রশ্ন ৩: মৈমনসিংহ গীতিকা কতটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে?
উত্তর: মৈমনসিংহ গীতিকা ২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: Ode কী?
উত্তর: Ode হলো বিশেষ গাথা কবিতা, যা অনিয়মিত ছন্দে রচিত।
প্রশ্ন ৫: মৈমনসিংহ গীতিকা কোন সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে সংকলনটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ৬: ‘মহুয়া’ ও ‘দেওয়ানা মদিনা’ গীতিকার রচয়িতা কারা?
উত্তর:
- মহুয়া পালাটির রচয়িতা দ্বিজ কানাই।
- দেওয়ানা মদিনা পালাটির রচয়িতা মনসুর বয়াতি।
প্রশ্ন ৭: প্রথম কোন গীতিকা এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার জর্জ গ্রিয়ারসন প্রথমবার রংপুর থেকে সংগৃহীত ‘মাণিকচন্দ্র রাজার গান’ নামক গীতিকাটি এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নালে প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন ৮: মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্গত গীতিকাগুলো কী কী?
উত্তর: মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্গত গীতিকাগুলো হলো—
মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দেওয়ানা মদিনা, দস্যু কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও লীলা এবং কাজল রেখা।
প্রশ্ন ৯: পূর্ববঙ্গের গীতিকাগুলো কী কী?
উত্তর: পূর্ববঙ্গের গীতিকাগুলো হলো—
নিজাম ডাকাতের পালা, কাফন চোরা, চৌধুরীর লড়াই, ভেলুয়া ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১০: মৈমনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা কে প্রকাশ করেন?
উত্তর: ড. দীনেশচন্দ্র সেনের উদ্যোগে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক “মৈমনসিংহ গীতিকা” ও “পূর্ববঙ্গ গীতিকা” নামে চার খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ১১: গীতিকা সংগ্রহের কাজে কারা অবদান রেখেছেন?
উত্তর: গীতিকা সংগ্রহের কাজে অবদান রেখেছেন—
চন্দ্রকুমার দে, জসীমউদ্দীন, আশুতোষ চৌধুরী, বিহারীলাল সরকার, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, মনোরঞ্জন চৌধুরী।