রাইস মিউজিয়াম বা ধান জাদুঘরে

১ অক্টোবর ১৯৭০ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (BRRI) যাত্রা শুরু হয়। উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাত উন্নয়নে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি একের পর এক নতুন জাতের ধান কৃষকদের উপহার দেয়।
প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত জাতের মধ্যে কোনােটি উচ্চ ফলনশীল জাত, কোনােটি লবণ, খরা কিংবা বন্যা সহিষ্ণু, কোনাে জাতের জনপ্রিয়তা কৃষক পর্যায়ে, কোনােটি আবার ভূমিকা রেখেছে গবেষণায়। এসব জাতের ধান একসঙ্গে দেখা যাবে দেশের প্রথম ‘রাইস মিউজিয়াম বা ধান জাদুঘরে।
২০১৮ সালে জাদুঘরটি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ১২ মার্চ ২০২২ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দেশের ধান চাষে ঘটেছে নানা রূপান্তর। গরু দিয়ে হালচাষের বদলে এসেছে কলের লাঙল। এখন বীজ বপন, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা ও মাড়াই-সবখানে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া।
BRRI এর উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের প্রদর্শনীর পাশাপাশি এ জাদুঘরের মাধ্যমে আধুনিক ধানবিষয়ক কৃষিপ্রযুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। মিউজিয়ামে প্রদর্শনীতে নতুন ও পুরােনাে কৃষি যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা এখানে এসে ধান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।
BRRI’র প্রথম উদ্ভাবিত ধানের জাত ছিল বিআর ১ (চান্দিনা)। প্রতিষ্ঠানটি বিআর-২৮, বিআর-২৯, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ সহ মােট ১০৮টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।