বৈষ্ণব পদাবলি: প্রশ্ন ও উত্তর

বৈষ্ণব পদাবলি: প্রশ্ন ও উত্তর
১। পদাবলি কী?
উত্তর: পদাবলি হলো বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গূঢ় বিষয়ে রচিত সাহিত্য।
২। বৈষ্ণব সাহিত্য কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: শ্রীচৈতন্যদেবের বৈষ্ণব ধর্মদর্শন এবং রাধা-কৃষ্ণের প্রেম-লীলা অবলম্বনে বৈষ্ণব সাহিত্য সৃষ্টি হয়।
৩। বৈষ্ণব পদাবলির চার মহাকবি কারা?
উত্তর: বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস ও গোবিন্দ দাস।
৪। কোন ভাষায় বিদ্যাপতি ও গোবিন্দ দাস রচনা করেছেন?
উত্তর: তাঁরা ব্রজবুলি ভাষায় লিখেছেন।
৫। কোন ভাষায় চণ্ডীদাস রচনা করেছেন?
উত্তর: চণ্ডীদাস খাঁটি বাংলা ভাষায় লিখেছেন।
৬। বৈষ্ণব পদকর্তাদের কী বলা হয়?
উত্তর: তাঁদের মহাজন বলা হয়।
৭। পদাবলির শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: চণ্ডীদাস।
৮। ব্রজবুলি ভাষা কী?
উত্তর: ব্রজবুলি একটি কৃত্রিম কবিভাষা যা বাংলা ও মৈথিলী ভাষার সংমিশ্রণে গঠিত।
৯। বিদ্যাপতি কোন অঞ্চলের কবি ছিলেন?
উত্তর: তিনি মিথিলার কবি ছিলেন।
১০। বিদ্যাপতিকে কী কী উপাধিতে ডাকা হয়?
উত্তর: কবিকণ্ঠহার, মৈথিলি কোকিল, অভিনব জয়দেব।
১১। বিদ্যাপতি কার রাজসভার কবি ছিলেন?
উত্তর: মিথিলার রাজা শিবসিংহের রাজসভার কবি ছিলেন।
১২। বিদ্যাপতিকে কে ‘কবি কণ্ঠহার’ উপাধি প্রদান করেন?
উত্তর: রাজা শিবসিংহ।
১৩। বৈষ্ণব কবিতার প্রথম সংকলন কে করেন?
উত্তর: বাবা আউল মনোহর দাস।
১৪। তাঁর সংকলনের নাম কী?
উত্তর: পদসমুদ্র।
১৫। বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের অবদান কী?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের নামে একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে, যদিও তিনি বাংলায় একটি পংক্তি লেখেননি।
১৬। শ্রীচৈতন্যদেবের প্রকৃত ও বাল্যনাম কী?
উত্তর: তাঁর প্রকৃত নাম বিশ্বম্ভর এবং বাল্যনাম নিমাই।
১৭। শ্রীচৈতন্যদেবের জন্ম ও মৃত্যুর সাল কত?
উত্তর: জন্ম- ১৪৮৬ খ্রি. (নবদ্বীপ), মৃত্যু- ১৫৩৩ খ্রি. (পুরী)।
১৮। বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী গ্রন্থ কে রচনা করেন?
উত্তর: বৃন্দাবন দাস, গ্রন্থের নাম চৈতন্য-ভাগবত।
গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব পদ
১. শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই (চণ্ডীদাস)।
2. আমারি বধূয়া আন বাড়ি যায়—আমারি আঙিনা দিয়া (দ্বিজ চণ্ডীদাস)।
3. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল (জ্ঞানদাস)।
4. রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর (জ্ঞানদাস)।