শিক্ষা

ই-লার্নিং কী? ICT এর কল্যাণে যেকোনো মুহূর্তে তাৎক্ষণিক সংবাদ জানা সম্ভব-ব্যাখ্যাকর।

শফিক সাহেব একজন কৃষি গবেষক। তিনি গবেষণা করে এমন ধান আবিষ্কার করলেন যা প্রকৃতি সহনশীল এবং পূর্বের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। তিনি একদিন তা বন্ধু চিকিৎসকের নিকট গালের আচিল অপারেশনের জন্য গেলেন । বন্ধু তাকে অল্প সময়ে ৩০°C তাপমাত্রায় রক্তপাতহীন অপারেশন করলেন এবং তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে গেলেন ।

ক. ই-লার্নিং কী?
খ. ICT এর কল্যাণে যেকোনো মুহূর্তে তাৎক্ষণিক সংবাদ জানা সম্ভব-ব্যাখ্যা কর।
গ. শফিক সাহেবের গবেষণায় কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শফিক সাহেবের বন্ধুর চিকিৎসা পদ্ধতির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।

ক. ই-লার্নিং হচ্ছে এক ধরনের দূরশিক্ষণ পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী ঘরে বসেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ই-ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষালাভ এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রাপ্ত নম্বর অর্জন করতে পারে।

খ. ICT এর কল্যাণে যেকোনো মুহুর্তে তাৎক্ষণিক খবর জানা সম্ভব। কারণ বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো স্থানে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রচার করা যায়। কোনো মিটিং করার সময় দেশের বাইরে থেকেও অনেকে কনফারেন্সে যোগদান করতে পারেন। এছাড়া মোবাইলে কথোপোকথন, লিখিত তথ্য ই- মেইলে প্রেরণ এবং অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে মানুষজন খুব কম সময়ে যেকোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারে ।

গ. উদ্দীপকে শফিক সাহেবের গবেষণার জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে ডি.এন.এ এর প্রোটিনের পুনরায় সমন্বয় করে নতুন বৈশিষ্ট্যের জীব তৈরীর প্রক্রিয়া। বর্তমানে DNA প্রযুক্তির কারণে কোনো বস্তুর অন্তর্গত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলে নতুন উন্নত জাতের বস্তু সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

নতুন উদ্ভিদ, খাদ্য সৃষ্টির ফলে পৃথিবীতে খাদ্য ঘটতি সংকুচিত করা হচ্ছে এবং অল্প খাদ্যে অধিক পুষ্টি গুণাগুণ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত ফলনশীল জাতের চারা উৎপাদন করে যাচ্ছে এবং একজন কৃষক সেই চারা চাষ করে পূর্বের তুলনায় অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারছে।

ঘ. উদ্দীপকের শফিক সাহেবের গালের আঁচিল অপারেশনের জন্য তার বন্ধুর ব্যবহৃত চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ক্রায়োসার্জারি।

ক্রায়োসার্জারি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যুগুলোর ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারিতে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করে নাইট্রোজেন গ্যাস বা আর্গন গ্যাস হতে উৎপাদিত ঠান্ডা বাহ্যিক ত্বকের চামড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ।

সাধারণত টিউমারের ক্ষেত্রে ২০-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে ৪০-৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়। ক্রায়োসার্জারির ক্ষেত্রে সাধারণ পৃথক পৃথকভাবে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুষার, আর্গন এবং সমন্বিতভাবে ডাই-মিথাইল ইথার ও প্রোপেন এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য খুবই সহায়ক ।

সুতরাং উদ্দীপকে ড. জমিলের গালের আঁচিল অপারেশনের জন্য তার বন্ধুর ক্রায়োসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি যৌক্তিক বলে আমি মনে করি ।

এই বিভাগ থেকে আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button