নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার বিষয়টি সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে
বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে অনুচ্ছেদ ২২ তে। এই অনুচ্ছেদটি রাষ্ট্রের ক্ষমতার পৃথকীকরণের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বাহী বিভাগ (যেমন সরকার বা মন্ত্রিসভা) বিচার বিভাগের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। সংবিধান এই স্বাধীনতার মাধ্যমে বিচার বিভাগের অবাধ ও নিরপেক্ষ কার্যক্রমকে সুরক্ষিত করতে চায়, যাতে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাব কাজ না করে। এর ফলে নাগরিকদের মধ্যে আইনগত ন্যায্যতার বিশ্বাস সৃষ্টি হয় এবং বিচারকদের স্বাধীনতার মাধ্যমে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সমাজে ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়। নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ থেকে বিচার বিভাগের মুক্তি কেবল সংবিধানিক পদক্ষেপ নয়, এটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও অপরিহার্য। রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান শাখা—বিধান, নির্বাহী এবং বিচার—প্রত্যেকটি আলাদা কাজ ও দায়িত্ব পালন করে, যা সংবিধান অনুসারে বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হয়। এইভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস স্থাপিত হয়।
Please login or Register to submit your answer