- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- বাংলাদেশে জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবিলা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
বাংলাদেশে জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবিলা
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ধারণা
পৃথিবীর বুকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে পানি, বায়ু ও অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্রাণ-উপযোগী পরিবেশের কারণে। উষ্ণায়নের ফলে সেই পরিবেশই ভয়ানকভাবে বিপন্ন হচ্ছে। এখন জানা যাক, এই 'উষ্ণায়ন' কী। বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষ একদিকে যেমন তার জীবনকে করেছে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় অন্যদিকে তেমনি পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশকে করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভারসাম্যহীন। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ, বৃক্ষনিধন ও ইঞ্জিনচালিত যানবাহনসহ বড়ো বড়ো শিল্প-কারখানার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে সৃষ্টি হয় নানা সমস্যার। সমস্যাগুলোর একটি হলো 'গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া'। এটি একটি জটিল সমস্যা। গ্রিনহাউস মূলত কতগুলো গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত একটি আচ্ছাদন। গ্রিনহাউস গ্যাসকে তাপ বৃদ্ধিকারক গ্যাসও বলে। এই গ্যাস পৃথিবীর চারপাশে বায়ুমণ্ডলে চাদরের মতো আচ্ছাদন তৈরি করে আছে।
পাশের চিত্রটি লক্ষ কর। এখানে গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীকে ঘিরে চাদরের মতো একটি আচ্ছাদন তৈরি করেছে। তার ফল কী হয়েছে? সূর্যের তাপ এই চাদর শোষণ করে এবং তা পৃথিবীপৃষ্ঠে ছড়িয়ে দেয়। পৃথিবী পৃষ্ঠ দ্বারা গৃহীত এ তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবে রাতের বেলা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে মিলিয়ে যায় এবং এভাবেই পৃথিবী ঠান্ডা হয়। কিন্তু বায়ুমণ্ডলে নির্দিষ্ট কিছু গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিফলিত তাপ সম্পূর্ণভাবে মহাশূন্যে মিলিয়ে না যেয়ে বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে। এভাবেই পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। একেই বলা হয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এই উষ্ণায়নের ফলে বায়ুমণ্ডল ও পৃথিবী ক্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়ছে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

