• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি || Islamic Education and Culture

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

উদ্দীপক ও প্রশ্নোত্তর

পৃথিবীতে এমন একটি সংস্কৃতি আছে যা, কুরআন ও হাদিস থেকে উৎসারিত। এ সংস্কৃতি ধর্ম ও কর্মের সমন্বিত রূপ। এতে ইহকালীন ও পরকালীন জীবন একই সূত্রে গাঁথা। এ সংস্কৃতি স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করে। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে দূরত্ব কমিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পথ দেখায়। প্রত্যেক জাতির জন্য সে সংস্কৃতি অস্তিত্বের রক্ষাকবচ।

উদ্দীপকে উল্লেখিত সংস্কৃতিটি যে ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কৃতি তা ব্যাখ্যা কর।

উদ্দীপকে উল্লেখিত সংস্কৃতি তথা ইসলামি সংস্কৃতি হলো ভারসাম্যপূর্ণ।

ইসলামি সংস্কৃতি একটি আদর্শিক সংস্কৃতি। ইসলামের নীতি-আদর্শ ঘিরে এ সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে। মানবজাতির জীবনযাপনের যে বিধিব্যবস্থা ইসলাম দিয়েছে তার ব্যাবহারিক দিক হলো ইসলামি সংস্কৃতি। ইসলামি সংস্কৃতি হলো ধর্ম ও কর্মের সমন্বিত রূপ। উদ্দীপকে এরই প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।'

উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, পৃথিবীতে এমন একটি সংস্কৃতি আছে যা, কুরআন ও হাদিস থেকে উৎসারিত। এ সংস্কৃতি ধর্ম ও কর্মের সমন্বিত রূপ। এতে ইহকালীন ও পরকালীন জীবন একই সূত্রে গাঁথা। এর দ্বারা ইসলামি সংস্কৃতির কথা বোঝানো হয়েছে। বস্তুত ইসলামি সংস্কৃতি মানব জীবনের সামগ্রিক অজ্ঞানে বিস্তৃত ও ব্যাপৃত। এটি একটি বিশ্বজনীন সংস্কৃতি। সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও সর্বজনীন নীতির ওপর এর ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত এবং এ সংস্কৃতি দুনিয়া ও আখিরাতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। আল্লাহ তাঁর এমন বান্দাকে অপছন্দ করেন, যে দুনিয়া ও আখিরাতের কর্ম থেকে উদাসীন থাকে। (মিশকাত)

সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ইসলামি সংস্কৃতি একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কৃতি।

শেয়ার :

বুকমার্ক করুন

মন্তব্য ও আলোচনা ()