- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
উদ্দীপক ও প্রশ্নোত্তর
পৃথিবীতে এমন একটি সংস্কৃতি আছে যা, কুরআন ও হাদিস থেকে উৎসারিত। এ সংস্কৃতি ধর্ম ও কর্মের সমন্বিত রূপ। এতে ইহকালীন ও পরকালীন জীবন একই সূত্রে গাঁথা। এ সংস্কৃতি স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি করে। বান্দা ও আল্লাহর মাঝে দূরত্ব কমিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পথ দেখায়। প্রত্যেক জাতির জন্য সে সংস্কৃতি অস্তিত্বের রক্ষাকবচ।
প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের সংস্কৃতি অস্তিত্বের রক্ষাকবচ- এ কথাকে তুমি কি সমর্থন কর? বিশ্লেষণ কর।
প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের সংস্কৃতি অস্তিত্বের রক্ষাকবচ, এ কথাকে আমি সমর্থন করি।
সংস্কৃতি হলো কোনো জাতির পরিচালিত পরিমার্জিত কার্যকলাপের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো জাতির রক্ষাকবচ। উদ্দীপকে একথাই বলা হয়েছে।
উদ্দীপক অনুসারে সংস্কৃতি একটি জাতির জন্য অস্তিত্বের রক্ষাকবচ। বস্তুত সংস্কৃতি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অস্ত্র। অনেক সময় বিজয়ী জাতির সাংস্কৃতিক প্লাবনে বিজিত জাতির অস্তিত্ব পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইংরেজরা আমাদের স্বাধীনতার ওপরই আক্রমণ চালায়নি বরং তারা আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপরও মারাত্মক আঘাত হেনেছিল।
মুসলিমদের অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষার জন্য মহানবি (স.) অন্যদের অনুকরণ করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি অন্য জাতির অনুকরণ করে তাকে সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হবে।" অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতীক গ্রহণ করা মুসলিমদের জন্য কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ।
হিন্দুদের অনুকরণে তিলক কাটা, পৈতা পরিধান করা, বিষ্টানদের অনুকরণে ক্রস পরিধান করা, মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিন পালন করা, প্রদীপ জ্বালিয়ে মঙ্গল প্রার্থনা করা ইত্যাদি নিষিদ্ধ। এসব ইসলামি সংস্কৃতির এবং ইসলামি আকিদা বিশ্বাসের পরিপন্থি কাজ বলে বিবেচিত।
অতএব, আমাদের ধর্মীয় আকিদা-বিশ্বাস, আমল, অনুভূতি উজ্জীবিত রাখার জন্য ইসলামি সংস্কৃতি অনুসরণ করা অপরিহার্য।