• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • দ্বিতীয় শ্রেণি
  • দুখু মিয়ার জীবন
দুখু মিয়ার জীবন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

দুখু মিয়ার জীবন

দুখু মিয়ার জীবন

বাবা-মা আদর করে তাঁর নাম রেখেছিলেন দুখু মিয়া। দুখু মিয়ার জীবনে অনেক দুঃখ ছিল। আট বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যান। তিনি তখন গ্রামের মক্তবে পড়াশোনা করতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁকে নানা রকম কাজ করতে হয়।

তিনি খুব গান পছন্দ করতেন। তাঁর গ্রামে লেটো গানের দল ছিল। তারা গ্রামে গ্রামে গান গেয়ে বেড়াত। তিনি তখন তাদের সাথে যোগ দেন। গান লেখেন আর সুর করেন। একদিন তিনি বাড়ি ছেড়ে আসানসোল শহরে চলে গেলেন। সেখানে রুটির দোকানে কাজ নিলেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বই পড়েন আর গান লেখেন। এক দারোগাসাহেব তাঁকে ময়মনসিংহ নিয়ে আসেন। আবার স্কুলে ভর্তি করে দেন।

তখন বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁকে পাকিস্তানের করাচি শহরে পাঠানো হয়। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। পত্রিকায় তাঁর লেখা ছাপা হতে থাকে।

তখন আমাদের দেশ ইংরেজরা শাসন করত। তারা এদেশের মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করত। তিনি ইংরেজদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কবিতা লেখেন। তাই তাঁকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। জেলখানায় বসেও তিনি অনেক কবিতা লেখেন, গান লেখেন। তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের কথা লেখেন। তিনি মুসলিমের কথা লেখেন, তিনি হিন্দুর কথা লেখেন, তিনি সবার কথা লেখেন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ২৫শে মে পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তাঁকে এদেশে আনা হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯শে আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একটা গান লিখেছিলেন: মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।

তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। প্রতিদিন অনেক মানুষ তাঁর কবর দেখতে আসেন।

বলি

১. দুখু মিয়া কার নাম ছিল?

২. দুখু মিয়াকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয় কেন?

৩. দুখু মিয়া গান ও কবিতায় কাদের কথা লিখেছেন?

৪. আমাদের জাতীয় কবির নাম কী?

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ